ভারসাম্যের ছকে স্মার্ট ক্রিকেটে বাজিমাতের প্রত্যয় লিটনের
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ: 3 ঘন্টা আগেআপডেট: 14 মিনিট আগে- 1
যাকে সরানো হলো ‘অযোগ্য’ বলে, পরামর্শ নিতে হলো ‘অপরিহার্য’ জেনে
- 2
বিসিবি নির্বাচন, ফিক্সিং ইঙ্গিত ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ‘সীমিত হস্তক্ষেপ’: আড়ালের গল্প কী?
- 3
শাস্তি এড়াতে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত
- 4
নিজাকাতের প্রিয় খেলোয়াড় সাকিব, স্পিনেই বাজিমাত করতে চায় হংকং
- 5
চ্যাম্পিয়নশিপের স্বাদ পেতে চান, এশিয়া কাপে আশাবাদী লিটন দাস

ভারসাম্যের ছকে স্মার্ট ক্রিকেটে বাজিমাতের প্রত্যয় লিটনের
ভারসাম্যের ছকে স্মার্ট ক্রিকেটে বাজিমাতের প্রত্যয় লিটনের
এশিয়া কাপের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রথম ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস জানিয়ে দিলেন, দল এবার মাঠে নামছে কেবল জয়ের খোঁজে নয়, বরং পরিকল্পিত ও ভারসাম্যপূর্ণ ক্রিকেটের মিশন নিয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে উঠে এলো দলের কৌশলগত প্রস্তুতি, খেলোয়াড় বাছাইয়ের ভাবনা এবং বাস্তবতাভিত্তিক লক্ষ্য নির্ধারণের কথা।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার বেশ ধারাবাহিক হলেও, মিডল অর্ডারের ফর্ম ঘিরে প্রশ্ন ছিল। তবে সেই চ্যালেঞ্জকেই ইতিবাচকভাবে নিচ্ছেন অধিনায়ক।
লিটন দাস বলেন, “রিসেন্ট পাস্টে টপ অর্ডার খুব ভালো করেছে। মিডল অর্ডারের কাছে অত বেশি দায়িত্ব আসেনি। তবে আমার বিশ্বাস, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।”
তাঁর মতে, মিডল অর্ডারই হতে পারে ম্যাচ ঘোরানোর আসল কাঁধ, যা বড় মঞ্চে কাজে লাগবে।
টি-টোয়েন্টি মানেই চার-ছক্কার ঝড়, তবে লিটনের দৃষ্টিভঙ্গি একটু আলাদা। তিনি চান এবার পরিকল্পনাহীন আগ্রাসন নয়, ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝে কাঠামোবদ্ধ আগ্রাসনে স্মার্ট ক্রিকেট খেলুক বাংলাদেশ।
তিনি বলেন,“বড় ছয় মারলে একটা প্লাস পয়েন্ট অবশ্যই। তবে শুধু ছয় মারলেই চলবে না। প্রতিপক্ষ কেমন, বাউন্ডারির সুযোগ কতটুকু আছে, এসব বিচার করে স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে।”
শেষের ওভারে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। এই ডেথ ওভারের চাপে যাতে বোলাররা ভেঙে না পড়ে, সে নিয়ে ভাবনা আগেই করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বোলিং ইউনিট নিয়ে সন্তুষ্ট অধিনায়ক এই মুহূর্তে দলকে দেখছেন আত্মবিশ্বাসী ও সুশৃঙ্খল হিসেবে।
ডেথ ওভারে বোলিং নিয়ে লিটন জানান, “২-৩ জন ভালো কোয়ালিটির বোলার আছে। মুস্তাফিজ, তাসকিন ভালো করছে। শরিফুল, সাকিবও প্রস্তুত। এখন পর্যন্ত প্রস্তুতি অনুযায়ী তারা ভালো জায়গায় আছে।”
প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের স্কোয়াডে যুক্ত হওয়া সাইফ হাসান শুধু ব্যাটসম্যান নন, দলের ভারসাম্য রক্ষার এক সম্ভাব্য চাবিকাঠিও। ব্যাটে-বলে ভারসাম্য আনতে তাই সাইফ হতে পারেন নতুন এক্স-ফ্যাক্টর!
লিটন বলেন, “সাইফকে নেওয়া হয়েছে কারণ তার ব্যাটিং আগ্রাসী, আবার বল হাতেও ১-২ ওভার দিতে পারে। উইকেটে স্পিন ধরলে সে কার্যকর হতে পারে। দলে ভারসাম্য আনবে।”
বলা যায়, স্পিন সহায়ক উইকেটে সাইফ হতে পারেন একটি 'কন্টেইনিং' অপশন, আবার ব্যাট হাতে বাড়াতে পারেন সাহস।
ম্যাচের দিন উইকেট যেমনই হোক, লক্ষ্য কিন্তু একটাই ম্যাচ জয়। উইকেট নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো বার্তা না পেলেও, শেষ ম্যাচের অভিজ্ঞতায় লিটনের আশা, ভালো ব্যাটিং পিচেই খেলা হবে।
হংকং বিপক্ষে খেলতে নামার আগে আবুধাবির উইকেট নিয়ে টাইগার দলপতি বলেন, “উইকেট দেখার সুযোগ হয়নি। তবে শেষ ম্যাচ দেখে ভালো উইকেট মনে হয়েছে। ম্যাচ জেতা ছাড়া আর কোনো অপশন নেই,”
এশিয়া কাপে কেবল পয়েন্ট টেবিল কিংবা নেট রান রেট নয়, কন্ডিশন ও পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই পরিকল্পনা সাজাবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নেট রান রেট গুরুত্বপূর্ণ হলেও, লিটনের ভাবনায় আগে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, “নেট রান রেট ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে থাকতেই পারে। তবে প্রথম লক্ষ্য ম্যাচ জয়। ভালো অবস্থানে থাকলে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসতেও পারে।”
বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন লিটন দাস। বাংলাদেশি সমর্থকদের প্রশংসা করে লিটন বলেন,“বাংলাদেশ যেখানেই খেলুক, সমর্থক থাকে। এটা আমাদের বড় শক্তি। আমি চাই, তারা আসুক, উপভোগ করুক, আর আমাদের সাপোর্ট করুক।”