পুরনো স্মৃতি পেছনে ফেলে শেখ জায়েদে জয়ের খোঁজে বাংলাদেশ
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ: 3 ঘন্টা আগেআপডেট: 12 মিনিট আগে- 1
যাকে সরানো হলো ‘অযোগ্য’ বলে, পরামর্শ নিতে হলো ‘অপরিহার্য’ জেনে
- 2
বিসিবি নির্বাচন, ফিক্সিং ইঙ্গিত ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ‘সীমিত হস্তক্ষেপ’: আড়ালের গল্প কী?
- 3
শাস্তি এড়াতে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত
- 4
নিজাকাতের প্রিয় খেলোয়াড় সাকিব, স্পিনেই বাজিমাত করতে চায় হংকং
- 5
চ্যাম্পিয়নশিপের স্বাদ পেতে চান, এশিয়া কাপে আশাবাদী লিটন দাস

পুরনো স্মৃতি পেছনে ফেলে শেখ জায়েদে জয়ের খোঁজে বাংলাদেশ
পুরনো স্মৃতি পেছনে ফেলে শেখ জায়েদে জয়ের খোঁজে বাংলাদেশ
এশিয়া কাপ ২০২৫-এর মঞ্চে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচের গুরুত্ব শুধু গ্রুপ পর্বের জয় নয়, এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে অতীতের ক্ষত সারানোর লড়াই এবং আবুধাবির মাঠে জয়হীনতার অবসান ঘটানোর প্রত্যয়।
একদিকে হংকংয়ের সামনে রয়েছে ২০১৪ সালের সেই ঐতিহাসিক জয়ের স্মৃতি, অন্যদিকে বাংলাদেশের সামনে তখনকার হারের বেদনা এবং আবুধাবির মাঠে নিজেদের ব্যর্থ অতীত পরিসংখ্যান। তারই মাঝখানে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক লিটন দাসের কণ্ঠে ভেসে আসছে বাস্তবতা ও আত্মবিশ্বাসের মিশেল, “নিজেদের সেরাটাই দিতে হবে। যে দলই হোক, বেস্ট এফোর্টই দিতে হবে।"
হংকংয়ের বিপক্ষে এটিই হতে যাচ্ছে দুই দলের মধ্যে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি লড়াই। প্রথম ও একমাত্র সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, চট্টগ্রামে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সেটাই ছিল দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎ, আর তাতেই বাংলাদেশকে ১৬.৩ ওভারে ১০৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে চমকে দিয়েছিল হংকং। রান তাড়ায় হংকংও করেছিল অবিশ্বাস্য জয়, যা আজও রয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য এক কঠিন স্মৃতি।
এবারের ম্যাচটি হতে যাচ্ছে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে, যেখানে বাংলাদেশ এখনও কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে পারেনি। ২০২১ সালের বিশ্বকাপে এই ভেন্যুতে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছিল টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হয়ে সেই ম্যাচ হয়ে ওঠে এক বিব্রতকর রেকর্ড।
এই মাঠে জয়শূন্য ইতিহাস এবং হংকংয়ের বিপক্ষে আগের হারের ক্ষত, সব মিলিয়ে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য মানসিকভাবে বেশ চ্যালেঞ্জিং।
২০১৪ সালের সেই অবিস্মরণীয় জয়ের স্মৃতি নিয়েই মাঠে নামছে হংকং। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উন্নতি আর বড় দলের বিপক্ষে সাহসী ক্রিকেট খেলার ইতিহাস নিয়েই তারা এবারও চমক দেখানোর হুমকি দিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশ যে সহজ প্রতিপক্ষ নয়, তা জানলেও, হংকং আত্মবিশ্বাসী, যে তারা আবারও ইতিহাস লিখতে পারে।
তবে বাংলাদেশও আসছে দুর্দান্ত টি-টোয়েন্টি ফর্ম নিয়ে। শ্রীলঙ্কায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজ জয়, ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগে টাইগাররা। সর্বশেষ সিলেটে নেদারল্যান্ডসকে হারানোর টাটকা স্মৃতি রয়েছেই।
এই ধারাবাহিকতা লিটনদের মনে জোগাচ্ছে সাহস। অধিনায়ক জানালেন, “সাম্প্রতিক অতীতে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। টুর্নামেন্টের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত। প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, আমরা মাঠে নামব জয়ের লক্ষ্য নিয়ে।”
আরও একটি ইতিবাচক দিক হলো, আবুধাবির কন্ডিশনের সঙ্গে সিলেটের সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোর অনেক মিল রয়েছে। সিলেটে খেলা ম্যাচগুলোতেও ছিল শিশিরের প্রভাব, স্পিনারদের ভূমিকা এবং গরমের চাপ। লিটন দাস জানালেন, “মাঠ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। গরম সবার জন্যই সমান হবে। শিশির থাকলে সবাইকেই মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের কাজ হচ্ছে মাঠে শতভাগ দেওয়া।”
ম্যাচ জেতার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে "কীভাবে জিতছি"। বড় ব্যবধানে জয় প্লাস পয়েন্ট এনে দিতে পারে, যা পরের রাউন্ডে কার্যকর হবে। লিটন বলেন, “বড় ব্যবধানে জিততে পারলে তো খুবই ভালো। তবে প্রতিপক্ষ ভালো খেললে সেটা কঠিন হয়ে যাবে। আমাদের মূল লক্ষ্য ম্যাচ জেতা, সেটা যেমনই হোক।”