উসমান খানের ১২৩, চিটাগং কিংস জিতল ১০৫ রানে
উসমান খানের ১২৩, চিটাগং কিংস জিতল ১০৫ রানে
উসমান খানের ১২৩, চিটাগং কিংস জিতল ১০৫ রানে
এবারের বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকালেন চিটাগং কিংসের পাকিস্তানি ওপেনার উসমান খান। ইনিংসের ১৯তম ওভারে গিয়ে উসমান প্যাভিলিয়নে ফেরন ৬২ বলে ১২৩ রান করে। আর তাতেই দুর্বার রাজশাহীর সামনে দাঁড়ায় ২২০ রানের পাহাড়সম টার্গেট। যা এই বিপিএলের সর্বোচ্চ। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১১৪ রানের বেশি করতে পারেনি রাজশাহী।
দুর্বার রাজশাহীকে ১০৫ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল চিটাগং কিংস। এর আগে উসমান খান তুলে নেন এবারের আসরের প্রথম শতক। এবারের বিপিএলের দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে চিটাগং কিংস, ৫ উইকেটে ২১৯ রান।
উসমানের ৬২ বলে ১২৩ রানের বিধংসী ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান সংগ্রহ করে চিটাগং কিংস। আগের ম্যাচে ৭ উইকেট পাওয়া রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ এই ম্যাচেও জ্বলে উঠেন শুরুতেই। প্রথম ওভারেই ফেরান পারভেজ হোসেন ইমনকে (০)। দলীয় ১ রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় চিটাগং। উসমান খান আর গ্রাহাম ক্লার্ক ধরেন হাল। দু’জনের জুটিতে যোগ হয় ৬৩ বলে ১২০ রান। যা অবশ্য ভাঙে ক্লার্ক ২৫ বলে ৪০ রানে উইকেট হারালে।
তবে এরপরও থামেনি উসমান ঝড়। সাথে যোগ দেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। তবে ১৫ বলে ২৮ রানের ক্যামিও খেলে বিদায় নেন ক্যাপ্টেন মিঠুনও। এরপর উসমান তুলে নেন শতক। যা এবারের আসরের প্রথম, আর উসমানের বিপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত তাসকিনের শিকার হয়ে ১৮.১ ওভারে থামেন ১৩ চার ও ৬ ছক্কা হাঁকানো উসমান। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন তাসকিন।
রেকর্ড ২২০ রানের টার্গেট টপকাতে নেমে শরিফুল ইসলামের প্রথম ওভারেই বিদায় নেনে দুর্বার রাজশাহীর ওপেনার সাব্বির হোসেন। রানের চাকায় গতি থাকলেও প্রথম পাওয়ার মাঝে আরও দুই উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী। মোহাম্মদ হারিসের ব্যাট থেকে ১৫ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস আসলেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনে নামা এনামুল হক বিজয়।
আগের দুই ম্যাচে ফিফটি পাওয়া অধিনায়ক বিজয় আজ ৯ বল খেলে করেন ৮। উইকেটের আসা-যাওয়া, তবুও ৬ ওভারে রাজশাহীর সংগ্রহ ৫৮। দারুণ খেলতে থাকা আকবর আলি হয়েছেন আরাফাত সানির দ্বিতীয় শিকার। শেষ পর্যন্ত ধুঁকতে ধুঁকতে ১১৪ রানে থামে দুর্বার রাজশাহীর ইনিংস।
বল হাতে রাজশাহীর ব্যাটারদের সবচেয়ে বেশি বিপাকে ফেলেছেন চিটাগংয়ের দুই স্পিনার আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলাম। দু'জনের শিকার ৩টি করে উইকেট। বাকি ৪ উইকেট ভাগ করে নেন দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।