অনুজ্জ্বল হৃদয়-মুস্তাফিজ, এলপিএলে ডাম্বুলা সিক্সার্সের হার
অনুজ্জ্বল হৃদয়-মুস্তাফিজ, এলপিএলে ডাম্বুলা সিক্সার্সের হার
অনুজ্জ্বল হৃদয়-মুস্তাফিজ, এলপিএলে ডাম্বুলা সিক্সার্সের হার
এলপিএল (লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ) এর ৫ম আসরে বাংলাদেশের ক্রিকেটার আছেন কেবল ৩ জন। যার মধ্যে ডাম্বুলা সিক্সার্স দলেই আছেন দুইজন- মুস্তাফিজুর রহমান ও তাওহীদ হৃদয়। ৫ দলের টুর্নামেন্টের নয়া আসর শুরুর দিনেই মাঠে নেমেছিল ডাম্বুলা, প্রতিপক্ষ ছিল ক্যান্ডি ফ্যালকন্স।
তবে শুরুটা ভালো হয়নি ডাম্বুলা সিক্সার্সের। উদ্বোধনী ম্যাচে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে তাঁরা। দলের পরাজয়ের দিন অনুজ্জ্বল ছিলেন তাওহীদ হৃদয় ও মুস্তাফিজুর রহমান দুজনেই।
পাল্লেকেলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ডাম্বুলা সিক্সার্স। শুরুটা তাঁদের হয় ভুলে যাবার মত। ৪.১ ওভারে ২৫ রান স্কোরবোর্ডে জমা করতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তাঁরা। পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাসনাইন নেন ১ উইকেট, বাকি ৩ উইকেটই পকেটে পোরেন দাসুন শানাকা।
২ বল খেলে কেবল ১ রান করে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তাওহীদ হৃদয়।
এরপর অবশ্য ১৫৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন মার্ক চ্যাপম্যান ও চামিন্দু বিক্রমাসিংহে। নিউজিল্যান্ড রিক্রুট চ্যাপম্যান ৬১ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৯১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন বিক্রমাসিংহে।
২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান তুলতে পারে ডাম্বুলা সিক্সার্স। ক্যান্ডি ফ্যালকন্সের পক্ষে ২০ রান খরচে ৩ উইকেট নেন দাসুন শানাকা।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই আন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেট হারায় ক্যান্ডি। তিনে নামা মোহাম্মদ হারিসকে ৮ বলে ৫ রানের বেশি করতে দেননি মুস্তাফিজুর রহমান।
তবে ওপেনার দীনেশ চান্দিমাল নিজের মত করে খেলতে থাকেন। আউট হবার আগে ৪০ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ রান করেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন কামিন্দু মেন্ডিস (২০ বলে ২৭)।
তবে এই দুজনের বিদায়ের পর ঝড় তোলেন দাসুন শানাকা। মাত্র ১৫ বল খেলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। কম যাননি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসও। ২০ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
১৬ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ক্যান্ডি। মুস্তাফিজুর রহমান ৩ ওভারে ৪৪ রান হজম করেন।
ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ম্যাচসেরা হন দাসুন শানাকা।