তাসকিনের কলম্বোকে হারাল মুস্তাফিজের ডাম্বুলা
তাসকিনের কলম্বোকে হারাল মুস্তাফিজের ডাম্বুলা
তাসকিনের কলম্বোকে হারাল মুস্তাফিজের ডাম্বুলা
ডাম্বুলা সিক্সার্স আজ অবশ্য সেরা একাদশে রাখেনি তাওহীদ হৃদয়কে, খেলেন কেবল মুস্তাফিজ। প্রতিপক্ষ কলম্বো স্ট্রাইকার্স দলে ছিলেন তাসকিন আহমেদ। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) এই দুই দলের ম্যাচটি বাংলাদেশ দলের সমর্থকদের জন্য তাসকিন-মুস্তাফিজের লড়াইয়ে পরিণত হয়। যেখানে তাসকিন আহমেদের কলম্বোর বিপক্ষে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে মুস্তাফিজের ডাম্বুলা। টানা ৩ হারের পর ডাম্বুলা অবশেষে পেল স্বস্তির প্রথম জয়।
মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৫৩ রান খরচ করলেও থাকেন উইকেটশূন্য, তাসকিন ২ উইকেট নিয়েছেন ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে। তাসকিনের জোড়া উইকেট শিকারের দিনেও অবশ্য জয়ে রাঙাতে পারেনি তার দল। ১৭.৫ ওভারেই লক্ষ্য ছুঁয়ে যায় ডাম্বুলা, কেবল দুই ওপেনারকে হারিয়ে। আর এই দুই উইকেটই একা হাতে দখলে নেন তাসকিন।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা কলম্বো ৬ উইকেটে ১৮৫ রান তোলে। এদিন কোটার শেষ ওভার করতে এসে মুস্তাফিজ খরচ করেন ২০ রান। ডাম্বুলা সিক্সার্সের বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজই ছিলেন সবচেয়ে খরুচে। ১৩.২৫ ইকোনমির দিনে ফিজ ৬ হজম করেছেন ৫টি। যেখানে পুরো ইনিংসেই কলম্বোর ব্যাটাররা হাঁকাতে পারে ৭টি ছক্কা।
বিপরীতে, প্রতিপক্ষ দলে থাকা তাসকিন আহমেদ নিজের প্রথম ৩ ওভারে ৩৯ রান খরচ করে কোটা শেষ করতে এসে পেলেন জোড়া উইকেটের দেখা। তাসকিনের হাতেই ভাঙে ডাম্বুলার রেকর্ড ১৫৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। শেষ ৩ বলে তাসকিন শিকার করে বসেন দুই সেট ওপেনারকে। প্রথমে বিদায় করেন ৫৪ রানে থাকা রেজা হেনড্রিক্সকে, এক বল পর তুলে নেন কুশল পেরেরাকেও। ৩৩ বলে ফিফটি হাঁকানো পেরেরা প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ব্যক্তিগত ৮০ রানে।
ওপেনিং জুটিতেই ১৫৪, জয়ের বাকি পথ পাড়ি দিতে তাই খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ডাম্বুলা সিক্সার্সকে। লাহিরু উদারা ১১, মার্ক চাপম্যানের ২৩ রানের ক্যামিওতে ১৩ বল হাতে রেখে তাদের ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত।