সাকিব-মাশরাফি ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো পেল যে বার্তা
সাকিব-মাশরাফি ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো পেল যে বার্তা
সাকিব-মাশরাফি ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো পেল যে বার্তা
ক্রিকেটারদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে আছে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা। জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাশরাফি বিন মুর্তজা এরপর একই পথে হাঁটেন সাকিব আল হাসান ও। ক্রিকেটারদের রাজনীতি করা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন কি পারবেন না এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘যে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, তা এগিয়ে যাবে। কেউ জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন কি পারবেন না- সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো যে সংস্কার নিয়ে কথা বলছে, সেখানে একটি রাজনৈতিক দলেরও কি উচিত কোনো রানিং খেলোয়াড়কে তাদের দলে নেওয়া। রাজনৈতিক দলগুলো দেশের জন্যই তো কাজ করে। আমার মনে হয় খেলা চালানোর সময়টাতে রাজনীতিতে আসা উচিত নয়। ভবিষ্যতের জন্য আমি আমার মতাতম দিয়ে রাখলাম।’
একজন ক্রিকেটারের কাছে বেশী গুরুত্ব পাবে কোনটি রাজনীতি নাকি ক্রিকেট? এই বিষয়ে বোর্ড থেকে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিৎ বলে লিপু বলেন, ‘এখানে আসলে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন আসা উচিত। সে গাইডলাইনে থাকবে যদি খেলা থাকে, আবার রাজনীতির কর্মকাণ্ডও থাকে, তাহলে ক্রিকেটাররা কোনটাতে গুরুত্ব দেবেন? সেই কারণে আমার মনে হয়, বোর্ডের যদি সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা থাকে, সেটি হলে খেলোয়াড়রা চিন্তা করতে পারবে, রাজনীতিতে যাওয়ার আগে তাদের কী করতে হবে।’
ক্রিকেটারের রাজনীতি করা উচিৎ না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই রাস্তাটা মনে হয় বন্ধ হওয়া উচিত। খেলোয়াড়রা দেশের সম্পদ, তাদের পেছনে বিনিয়োগ থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। খেলোয়াড় হিসেবে আপনার দেশকে সার্ভিস দেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু রাজনীতিতে ঢোকার মাধ্যমে দেশ বঞ্চিত হয়। যারা আগে থেকেই রাজনীতির সাথে যুক্ত, তাদের কথা ভিন্ন। রাজনীতিবিদরাও দেশের জন্যই করেন। কিন্তু ক্রিকেটারদের নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের নতুন করে বিষয়টি ভাবা উচিত। একজন খেলোয়াড়কে তার প্রায়েরিটি সেট করা উচিত।’