হোল্ডারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোমাঞ্চকর জয়

হোল্ডারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোমাঞ্চকর জয়
হোল্ডারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোমাঞ্চকর জয়
জেসন হোল্ডারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে শেষ বলে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই উইকেটের জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সফরকারীদের হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফেরাল ক্যারিবীয়রা।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর শুরুটা একেবারেই প্রত্যাশিত হয়নি পাকিস্তানের। জেসন হোল্ডারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। মোহাম্মদ হারিস, সাইম আয়ুব ও সাহিবজাদা ফারহান প্রত্যেকে ব্যর্থ।
তবে চাপের মধ্যেই হাল ধরেন আগা সালমান ও তরুণ হাসান নওয়াজ। এই দুজনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৬০ রানের মূল্যবান জুটি। বিশেষ করে হাসান নওয়াজ এক ওভারে রোমারিও শেফার্ডকে পরপর তিনটি ছক্কা মেরে ম্যাচের রঙ বদলে দেন।
কিন্তু আবারও ফিরে আসেন হোল্ডার। ফিরিয়ে দেন ফর্মে থাকা হাসান নওয়াজকে। এরপর মোহাম্মদ নওয়াজকেও তুলে নিয়ে ৪ উইকেট পূর্ণ করেন। পাকিস্তানের শেষ পাঁচ ব্যাটার যোগ করেন মাত্র ১৩ রান। শেষ ৫ ওভারে আসে মাত্র ২৩। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩৩ রান তোলে পাকিস্তান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য ছোট হলেও শুরুটা ছিল ধীরগতি। ওপেনিংয়ে কিছুটা ঝলক দেখান জুয়েল অ্যান্ড্রু, তবে দ্রুতই ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয় ব্যাটিং। মোহাম্মদ নওয়াজ পাওয়ারপ্লেতে তুলে নেন তিন উইকেট। আয়ুব ও মুকিমের স্পিন জালে আটকে পড়ে মিডল অর্ডার।
ধীরগতির ইনিংস খেলেন অধিনায়ক শাই হোপ (৩০ বলে ২১), যেটা চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। ৭১/৬ স্কোরে যখন জয় অসম্ভব মনে হচ্ছিল, তখন মঞ্চে আসেন জেসন হোল্ডার।
সঙ্গ দেন মোটি ও শেফার্ড। একেকটি বাউন্ডারি আর বুদ্ধিদীপ্ত সিঙ্গেল-ডাবলের মাঝে এগিয়ে চলে ইনিংস। গুদাকেশ মোটি রান আউট হয়ে ফেরেন ২৮ রান করে। তবু নাটকীয়তা তখনও বাকি। ১৯তম ওভারে ১৬ রান নিলে শেষ ওভারে ৮ রান দরকার, আর শেষ বলে ৩! শাহীন আফ্রিদির পায়ের দিকে ছোড়া বল ফাইন লেগের দুই ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে চার। ম্যাচ শেষ, উল্লাস হোল্ডারের। হোল্ডার অপরাজিত থাকেন ১৬ রানে।