আল্লাহ গাজানফারের ৬ উইকেট, আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের বড় হার
- 1
বাংলাদেশের কাছে টানা ১১ ওয়ানডে হারের পর জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- 2
ইংল্যান্ডের টম ও স্যাম কারেনের ভাই বেন কারেন জায়গা পেলেন জিম্বাবুয়ের স্কোয়াডে
- 3
ইকবাল হোসেন ইমন একাই হলেন ফাইনাল ও টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়
- 4
দলের প্রয়োজনেই মিরাজ করেছেন স্লো ব্যাটিং
- 5
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল তিন টেস্টের সিরিজ হওয়া উচিত?
আল্লাহ গাজানফারের ৬ উইকেট, আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের বড় হার
আল্লাহ গাজানফারের ৬ উইকেট, আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের বড় হার
শারজাহতে ৯২ রানের দারুণ জয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করল আফগানিস্তা। স্পিনে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ পাত্তা না পেয়ে রীতিমতো উড়ল মরুর শহরে। টাইগার ব্যাটারদের সবচেয়ে বেশি বিপদে ফেলা আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার তুলে নিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ফাইফার ও ৬ উইকেট। বাংলাদেশ ভয়ঙ্করভাবে আত্মসমর্পণ করেছে, শেষ সাত উইকেট হারিয়েছে মাত্র ১১ রানে।
ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নামা আল্লাহ গাজানফার ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের ইতিহাসগড়া জয়ের নায়ক। ৬.৩ ওভারে মাত্র ২৬ রান খরচায় শিকার করলেন ৬ উইকেট, যা তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার। ৩৪.৩ ওভারের বেশি খেলতে না পারা বাংলাদেশ ব্যাটিং ব্যর্থতায় অলআউট ১৪৩ করতেই। ২ উইকেটে স্কোরবোর্ড ১২০ রান, এমন সহজ জয়ের পথ থেকে ছিটকে গিয়ে পরের ২৩ রান করতে হারায় বাকি ৮ উইকেট। ৭ ব্যাটার আউট হয়েছেন এক অংকের ঘরে।
ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ মিলিয়ে টানা ৭ ম্যাচ হারের পর এবার আফগানিস্তানের কাছেও পরাজয়ের লজ্জায় ডুবল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ২৩৬ রানের টার্গেট টপকাতে নেমে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে কেবল ১৪৩ রানে। আল্লাহ গজানফর ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান ধ্বংসকারী, বাকি স্পিনাররা কেবল তাদের সহজ ভূমিকা পালন করেন। শান্ত-মিরাজের জুটি ভেঙে মোহাম্মদ নবীর হাতে উইকেট মিছিলের শুরু, এরপর একাই মিডল অর্ডার চুরমার করেন দেন গাজানফার। অধিনায়ক শান্ত প্রথমে সৌম্য, এরপর মিরাজকে নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেট জুটিতে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৫৩ ও ৫৫ রান।
ওপেনার তানজিদ তামিম ৩ রানে ফিরলে পরের তিন ব্যাটার মিলে দলকে দেন স্বস্তি। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ৪৫ বলে করেন ৩৩। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস। চারে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ ২৮ রান করে ফেরত যান প্যাভিলিয়নে। দুই অংকের ঘর ছুঁয়েছেন আর কেবল একজন, তাওহীদ হৃদয় (১১)।
দলীয় ১২০ রানে অধিনায়ক শান্তর বিদায়ের পরই মূলত শেষ বাংলাদেশের ইনিংস। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হয়েছেন চরমভাবে ব্যর্থ। মাহমুদল্লাহ ২ রানের বেশি পাননি, অনেক বাইরের বলে অহেতুক ড্রাইভ করতে গিয়ে হয়েছেন রাশিদ খানের কাছে বোল্ড। ১ রান করা মুশফিক এগিয়ে ফ্লিক করার চেষ্টায় হলেন স্টাম্পড।
ইনিংসের ৩৩তম ওভার করতে এসে তিন উইকেট শিকার করেন গাজানফার। প্রথম ডেলিভারিতে মুশফিক, শেষ দুই বলে ফেরান রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদকে। আর তাতেই নামের পাশে লেখা হয়ে মেডেন মাইফার। বাংলাদেশকে অলআউট করতে নিজের পরের ওভার করতে এসে দখলে নেন শেষ ব্যাটার শরিফুলকেও। মাত্র ২৬ রান খরচায় ৬ উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে আটকে দিয়ে নিশ্চিত করেন ৯২ রানের বড় জয়।