ঢাকায় আসার আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
ঢাকায় আসার আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
ঢাকায় আসার আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে ছিল ৩ টি ম্যাচ। প্রথম দুই ম্যাচে আগে বোলিং করেছে বাংলাদেশ, ৩য় ম্যাচে এসে করেছে আগে ব্যাটিং। তবে বদলায়নি ফল, তিন ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ, ২ ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে সিরিজ জয়।
প্রথম দুই ম্যাচে বোলিং নিয়ে অসন্তুষ্ট হবার কারণ ছিল না বাংলাদেশের। তবে ব্যাটিংটা একটু হলেও ভাবাচ্ছিল। বিশেষ করে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা সামনে আসছিল বড় হয়ে। তৃতীয় ম্যাচেও চিত্র বদলায়নি। বলার মত রান আসেনি টপ থ্রি'র ব্যাট থেকে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ টসে হেরে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিমের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২২ রান। ১৫ বলে ২ চারে ১২ রান করে আউট হন লিটন দাস। স্ট্রাইক রেট ১০০ ছুঁতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিম। ২২ বলে ১ টি করে চার ও ছক্কায় ২১ রান করেন তিনি।
দুই ওপেনারের আউট হবার মাঝে নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন ৪ বলে ৬ রান করে। সিকান্দার রাজার বলে বোল্ড হন তিনি।
৬০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ৪র্থ উইকেটে ৮৭ রান যোগ করেন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলি অনিক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার ফিফটি করে হৃদয় থামেন ৫৭ রান করে। ৩৮ বল স্থায়ী ইনিংসে হাঁকান ৩ চার ও ২ ছক্কা।
সমান সংখ্যক বাউন্ডারিতে ৩৪ বলে ৪৪ রান করে আউট হন জাকের আলি অনিক। একই ওভারে দুই ব্যাটারকে ফেরান ব্লেসিং মুজারাবানি। জিম্বাবুয়ের সফলতম বোলার তিনিই। ৪ ওভারে ১৪ রান খরচে ৩ উইকেট নেন তিনি। ১ টি করে উইকেট নেন ফারাজ আকরাম ও সিকান্দার রাজা।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ বলে ৯ ও রিশাদ হোসেন ৪ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকলে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা আজও ভালো যায়নি জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৩৩ রান তুলতে পারে তাঁরা, হারায় ৩ উইকেট।
এরপর দলকে আশা দিতে পারেননি অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ৫ বল খেলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি, উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিককে ক্যাচ দিয়েছেন রিশাদ হোসেনের বলে।
১০০ ছোঁয়ার আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। তবে এই ম্যাচে রিচার্ড এনগারাভার বদলে সুযোগ পাওয়া ফারাজ আকরাম ১০ নম্বরে নেমে দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমান।
ফারাজ আকরাম ১৯ বলে ২ টি করে চার ও ছয়ে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ব্লেসিং মুজারাবানি ৪ বলে ২ চারে অপরাজিত ৯ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে ১৫৬ রান করতে পারে, ম্যাচ হারে ৯ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২ উইকেট শিকার করেন রিশাদ হোসেন। ১ টি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সিরিজের বাকি ২ ম্যাচ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে ১০ ও ১২ মে।