আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থের মনোনয়ন পেলেন যারা
আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থের মনোনয়ন পেলেন যারা
আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থের মনোনয়ন পেলেন যারা
আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ অ্যাওয়ার্ডের জন্য পুরুষ ও নারীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণা করেছে। আগস্ট মাসের সেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন পুরুষদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কেশব মহারাজ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলার জেডেন সিলস এবং শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দুনিথ ওয়েল্লালাগে। এবং নারীদের মধ্যে আয়ারল্যান্ডের অরলা প্রেন্ডারগাস্ট এবং গ্যাবি লুইসের সাথে শ্রীলঙ্কার ব্যাটার সামারাবিক্রমা এই সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।
কেশব মহারাজ (দক্ষিণ আফ্রিকা)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হয়েছিলেন কেশব মহারেজ। পোর্ট অফ স্পেনে ড্র হওয়া টেস্টের প্রতিটি ইনিংসে তিনি চারটি উইকেট নেন যার মধ্যে প্রথম ইনিংসে সেরা চার ব্যাটারের মধ্যে তিনজন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে সেরা পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে চারজনের উইকেট ছিল।
জেডেন সিলস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন বলের বোলার সিলস দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে ৯ টি সহ মোট ১২ টি উইকেট নিয়ে মাস শেষ করার কারণে সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। আইসিসি পুরুষদের টেস্ট বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারের সেরা ১৩ তম স্থান অর্জন করেছে।
দুনিথ ওয়েল্লালাগে (শ্রীলঙ্কা)
বাঁ-হাতি এই অলরাউন্ডার ভারতের বিপক্ষে করেন অপরাজিত ৬৭ এ ৩৯ রান। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হন প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ। তৃতীয় ম্যাচে ২৭ রানে পাঁচ উইকেটসহ মোট সাত উইকেট নিয়ে সিরিজ শেষ করেন তিনি।
হর্ষিতা সামারাবিক্রমা (শ্রীলঙ্কা)
এশিয়া কাপ থেকে আয়ারল্যান্ড সফরে সামারাবিক্রমা তার ফর্ম ধরে রেখেছিলেন। এই বাঁ-হাতি ব্যাটার ডাবলিনে খেলা দুটি টি-টোয়েন্টিতে ৮২.৬৯ স্ট্রাইক রেটে এবং বেলফাস্টে খেলা তিনটি ওয়ানডেতে ১৬৯.৬৬ এবং ১৭২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে মোট ১৫১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ বলে অপরাজিত ৮৬ রান করেন এবং দ্বিতীয় ওয়ানডেতে করেন ১০৫ রান।
ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট (আয়ারল্যান্ড)
২২ বছর বয়সী প্রেন্ডারগাস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে আয়ারল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক। প্রথম ওয়ানডেতে ১০৭ বলে করেন অপরাজিত ১২২ রান। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন। দুটি টি-টোয়েন্টিতে করেন ২৯ এবং ৩৮ রান।
গ্যাবি লুইস (আয়ারল্যান্ড)
লুইস দুটি টি-টোয়েন্টিতে ১৪৬.২৯ স্ট্রাইক রেটে ১৫৮ রান করেন যার মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ১১৯ রান। এই ফরম্যাটে যা আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। প্রথম ওয়ানডেতে তিনি ৯ রান করেছিলেন। পরবর্তীতে ইনজুরির কারণে বাকি ২ টি ম্যাচ খেলেননি।