উড়তে থাকা বাংলাদেশ শেষ বিকালে নামল মাটিতে
উড়তে থাকা বাংলাদেশ শেষ বিকালে নামল মাটিতে
উড়তে থাকা বাংলাদেশ শেষ বিকালে নামল মাটিতে
সিলেট টেস্টে এ পর্যন্ত তিন সেশনের মধ্যে সকালেই সেরা সেশন কেটেছে বাংলাদেশের। পরেরটা ছিল কেবলই হতাশার। শেষ সেশনে গতি, বাউন্স আর মুভমেন্টে জ্বলে ওঠলেন নাহিদ রানা। একাই ফেরালেন দুই সেঞ্চুরিয়ানকে। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৮০ রানে। এরপর ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই হারায় ওপেনার জাকির হাসান, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের উইকেট। আলো ছড়িয়ে খেলা শুরু করা স্বাগতিকদের দিনের শেষটা হয়েছে মলিন। ৩২ রান করতেই ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ রিভিউ নষ্ট করে গেছে দু'টি।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ করা ২৮০ রানের মধ্যে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর কামিন্দু মেন্ডিসেরই ২০৪ রান। বাকি ৯ ব্যাটার মিলে করতে পারে ৬৫ রান। শেষ বিকালে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ হারায় ৩ উইকেট। রান করতে পারে কেবল ৩২। এরমাঝেই রিভিউ নষ্ট করে গেছেন জাকির হাসান আর অধিনায়ক শান্ত। ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে করতে হবে আরও ২৪৮ রান।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বিশ্ব ফার্নান্দো জাকিরকে ফেলেন লেগ বিফোরের ফাঁদে। রিভিউ চ্যালেঞ্জ জানিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি ৮ বলে ৯ করা জাকির। তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকেও লেগ বিফোরের ফাঁদে বিদায় করেন বিশ্ব। ১০ বলে পাঁচ রান করা শান্তও রিভিউ নষ্ট করে ফেরত গেলেন সাজঘরে। পরপর দুই ওভারে এই লঙ্কান পেসার রীতিমতো কাঁপুনি ধরিয়ে দেন টাইগার ব্যাটিং লাইনে।
উইকেটে এসে এদিন শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন মুমিনুল হক। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, প্রতি বলেই তিনি আউট হয়ে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত মুমিনুল হককে ফিরিয়েই দেন কাসুন রাজিথা। ব্যাক্তিগত ৫ রানে মুমিনুল প্যাভিলিয়নে ফিরলে বাংলাদেশ হারায় ৩য় উইকেট।
এরপর অবশ্য মাহমুদুল হাসান জয় আর নাইটওয়াচ ম্যান হিসাবে নামা তাইজুল ইসলামের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ দিনের খেলা শেষ করে আসে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩২, ২৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে কাল তারা দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবে।
কামিন্দু মেন্ডিস আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভার জোড়া সেঞ্চুরিতে মাঝে চোখ রাঙানি শ্রীলঙ্কার। ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটা তাদের ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় ২৫৯ রানে গিয়ে। চা বিরতি থেকে এসেই জোড়া সেঞ্চুরির দেখা পান কামিন্দু মেন্ডিস আর অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তবে এক নাহিদ রানার ওভারেই দুজন বাউন্ডারিতে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। একে একে দুই সেঞ্চুরিয়ানকেই বিদায় করেন রানা। পরে নিয়েছেন আরও এক উইকেট। শুরুর দুই সেশনে উইকেটশূন্য থাকা নাহিদ রানা বিকাল রাঙিয়ে গুটিয়ে দিলেন লঙ্কানদের। ২০২ রানের পার্টনারশিপের পরও লঙ্কানদের ইনিংস গুটিয়ে গেল ২৮০ রানে।
অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা নাহিদ রানা প্রথম ইনিংসে বল করেছেন ১৪ ওভার। ২ মেডেন পেলেও রান খরচ করেছেন ৮৭, উইকেট নিয়েছেন ৩ টি। এর আগে সকালের সেশনেই আরেক পেসার খালেদ আহমেদ দখলে নেন ৩ উইকেট।