লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলে এক সাথে খেলেছেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ ক্রিকেটে যাদের একসাথে ডাকা হয় পঞ্চপান্ডব বলে। তবে সময়ের বিবর্তনে, কালের পরিক্রমায় ব্যাট-প্যাড তুলে রাখতে হবে তাদের। ২২ গজের সাথে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি ঘটবে বছর কয়েক পরেই। ইতোমধ্যে আড়ালে যাওয়ার পথে দেশের অন্যতম সেরা পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা।
তাদের বিদায়ে শূন্যস্থান পূরণ করবে কেউ না কেউ, হয়তো বর্তমান দলের মধ্যেই আছে সেই প্রতিভাবানরা। যারা হতে পারেন আগামীর তামিম, সাকিব, মাশরাফি কিংবা মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ। তামিমের চোখে ধরা পড়েছে এমনই কয়েকজন। দেশের অন্যতম স্টাইলিস্ট ব্যাটসম্যান লিটন দাস, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সৌম্যের সাথে তামিমের প্রত্যাশা নাজমুল হোসেন শান্ত, মুস্তাফিজকে নিয়েও।
জাতীয় দৈনিক ‘সমকালকে’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টাইগারদের নয়া ওয়ানডে কাপ্তান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আছে (পঞ্চ পান্ডব হওয়ার মত ক্রিকেটার)। লিটন, সৌম্য, মুস্তাফিজ এখন অভিজ্ঞ। চার- পাঁচ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলেছে তারা। তরুণ বলব নাজমুল হোসেন শান্তকে। লিটন ভালো খেলা শুরু করেছে। সৌম্যও ভালো করছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট এত বছর ওদের ব্যাক করেছে। এখন ওদের পারফরম্যান্স করার সময়।’
বর্তমান বাংলাদেশ দল নিয়ে আশাবাদী তামিম যোগ করেন, ‘আমি আশাবাদী। আগামী এক থেকে দেড় বছর দলটাকে তৈরি করতে হবে। এরপর বড় বড় ইভেন্টগুলো খেলবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আগের মত অত ওয়ানডে খেলার সুযোগ হয়না। যত ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবো সবাইকে চেষ্টা করতে হবে কাজে লাগানোর।’
টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর এখনো কোন ম্যাচ খেলার সুযোগই হলনা তামিমের। করোনা ঝড়ে সব যেন থমকে গেল, সবশেষ তিন মাস গৃহবন্দী সময় কাটছে ক্রিকেটারদের। মাঠের অধিনায়কত্বের প্রমাণ দেওয়ার আগে তামিম অবশ্য মাঠের বাইরের নেতৃত্বে পাচ্ছেন লেটার মার্ক। করোনা প্রভাবে সৃষ্ট সংকটে অসহায় হয়ে পড়া মানুষ, গর্ভবতী মহিলা কিংবা ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ভিটে-মাটি হারানো অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশ সেরা এই ওপেনার।
মাঠের সতীর্থরাই ক্রিকেটারদের পরিবার, তামিম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের বিপদেও। তার হস্তক্ষেপেই হাসপাতালে বেড মিলেছে তরুণ ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বাবার। অধিনায়ক বলেই কি সবার অধিকারের জায়গাটা বেড়েছে তামিমের কাছে? এমন প্রশ্নে টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক সাফ জানিয়ে দিলেন আগেও বিপদে পড়ে তার কাছে ছুটে যেত মানুষ।
আগের মতই আছেন দাবি করে তামিম আরও বলেন, ‘সব সময়ই দেয় (কোন প্রয়োজনে ফোন)। মাশরাফি ভাই থাকার সময়ও দিত। এতে অধিনায়কত্বের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। আগেও আমাকে এভাবে প্রয়োজনে ফোন দিত। আমিও দিতাম। আমি আগে যেরকম ছিলাম সে রকমই আছি। মানুষজনও আমাকে আগের মতই দেখে।’