শেষদিকে রিশাদের দুর্দান্ত ক্যামিও, স্পিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বরেকর্ড
৯৭ প্রতিবেদক: নাজিফা তাসনিম
প্রকাশ: 9 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
শেষদিকে রিশাদের দুর্দান্ত ক্যামিও, স্পিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বরেকর্ড
শেষদিকে রিশাদের দুর্দান্ত ক্যামিও, স্পিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বরেকর্ড
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিন বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরপুরের স্পিনিং উইকেটে শুরু থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা চেপে বসে বাংলাদেশী ব্যাটারদের উপর। ক্রমাগত ডট বল খেলে একটি মাত্র ৬ মেরে আকিল হোসেনের বলে ৬ রান করে ফেরেন ওপেনার সাইফ হাসান।
তারপর ক্রিজে এসে সৌম্য সরকারের সাথে জুটি বাঁধেন তাওহীদ হৃদয়। পাওয়ার প্লে থেকে আসে ৪০ রান। তাওহীদ হৃদয় ১২ এবং শান্ত ১৫ রান করে আউট হলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। অন্য প্রান্তের খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন ওপেনিং এর নামা সৌম্য সরকার। ১৭ রান করে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন আউট হলে ৯৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
তারপর স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৭ রান যোগ করতেই ৪৫ রানে আউট হয়ে যান সৌম্য। ৭৯ বল খেলা সৌম্যের ইনিংসে ছিলো ৩ টি চার ও ১টি ছয়ের মার। লেফট রাইট কম্বিনেশন ঠিক রাখতে অধিনায়ক মিরাজের পরে ক্রিজে আসেন নাসুম আহমেদ।
একটি ছক্কা মেরে ১৪ রান করে ফেরেন না নাসুম। নাসুমের পরে সোহান ক্রিজে এসেও চালাতে থাকেন আগ্রাসী ব্যাটিং, বাড়িয়ে দেন রানের গতি। অন্যদিকে স্ট্রাইক রোটেট করে খেলে যাচ্ছিলেন মিরাজ।
২ চার ও ১ ছক্কায় গুদারেশ মোতির বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে ২৪ বলে ২৩ রান করে আউট হন নুরুল হাসান সোহান। তারপর ক্রিজে এসে ঝড় তোলেন রিশাদ হোসেন। মোতির এক ওভার থেকেই নেন ১৮ রান। ৩ টি করে চার ও ছক্কা মেরে ১৪ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন রিশাদ। আরেক অপরাজিত ব্যাটার মিরাজ করেন ৩২ রান। নির্ধারিত ওভার শেষে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান।
এদিকে কোনো ওয়ানডে ম্যাচে স্পিনারদের সবচেয়ে বেশী ওভার বল করার রেকর্ড গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনাররা। ১০ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচা করে ২ উইকেট শিকার করেন আলিক আথানজি। আলিক হোসেন নেন ২ উইকেট, গুদাকেশ মোতি শিকার করেন ৩ উইকেট।