মুস্তাফিজ ঝলকে জয় দিয়ে শুরু চেন্নাইয়ের
মুস্তাফিজ ঝলকে জয় দিয়ে শুরু চেন্নাইয়ের
মুস্তাফিজ ঝলকে জয় দিয়ে শুরু চেন্নাইয়ের
মুস্তাফিজুর রহমান একাদশে থাকবেন কি না, তা নিয়ে ছিল দ্বিধা। তবে আজ শুধু একাদশে থাকেননি, চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখলেন এই বাংলাদেশি। আইপিএলের উদ্বোধনী দিনে একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা সহজেই পেরিয়ে যায় চেন্নাই। মুস্তাফিজের দল জিতেছে ৬ উইকেটে, ৮ বল হাতে রেখেই।
চীপকে ১৭৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা পেরোতে খুব বেশি কঠিন হয়নি চেন্নাইয়ের জন্য। প্রথম ৪ ওভারে ৩৮ রানের সাথে একটি উইকেট হারায় দলটি। অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় ১৫ রানে বিদায় নেন।
রাচিন রবীন্দ্র খেলছিলেন নিজের মতো। ওপেনিংয়ে নেমে বড় রানের দিকে দৃষ্টি ছিল তার। অজিঙ্কা রাহানের সাথে দলের রান এগিয়ে নিতে থাকেন। তবে কার্ন শর্মার ডেলিভারিতে রজত পাতিদারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৫ বলে ৩৭ করে বিদায় নেন রাচিন। দলের রান তখন ২ উইকেট হারিয়ে ৭১।
দলীয় শতক আসার আগে ৯৯ রান যখন খাতায়, তখন রাহানে ফিরে যান ক্যামেরন গ্রিনের শিকার হয়ে ২৭ রানে। মাঝে এক ওভার বিরতি দিয়ে গ্রিনের কবলে পড়ে ড্যারিল মিচেলের উইকেট হারায় চেন্নাই। মিচেল ফিরে যান ২২ রানে।
চেন্নাইয়ের খেলা শেষ পর্যন্ত শিভাম দুবে ও রবীন্দ্র জাদেজা শেষ করেন। দুজন মিলে চেন্নাইয়ের ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন। দুবে ২৮ বলে ৩৪ রানে, জাদেজা ১৭ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে চেন্নাই সুপার কিংস। আর এতে মুস্তাফিজের বোলিং তোপে দিশেহারা হয়ে ওঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। শুরুটা ভালোই করেছিল ব্যাঙ্গালুরু। কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মুস্তাফিজ এসে বিপত্তি বাঁধান। ওভারের তৃতীয় ও ষষ্ঠ বলে ফ্যাফ ডু প্লেসি ও রজত পাতিদারের উইকেট শিকার করেন।
ডু প্লেসি ফেরেন ২৩ বলে ৩৫ রান করে। পাতিদার নিজের ব্যক্তিগত খাতায় কোনো রান যোগ করতে পারেননি। ব্যাঙ্গালুরুর বিপদ বাড়তে থাকে, পরের ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট হারিয়ে। দীপক চাহারের ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনির গ্লাভস বন্দী হন।
দলীয় ৭৭ রানে ওপেনিংয়ে নামা ভিরাট কোহলির উইকেট তোলেন এবার মুস্তাফিজ। স্লোয়ার ধরনের বল পুল করতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দেন কোহলি, ফেরেন ২০ বলে ২১ রান করে।
সেই ওভারে আরও একটি উইকেট তোলেন এই বাংলাদেশি বোলার। কাটার ধরনের শর্ট অব লেন্থ ডেলিভারিতে বোল্ড হন ক্যামেরন গ্রিন। তাকে ফিরতে হয় ১৮ রান করে।
ব্যাঙ্গালুরুর পক্ষে এরপর হাল ধরেন দীনেশ কার্তিক ও অনুজ রাওয়াত। দুজনে মিলে দলীয় শতক ছাড়িয়ে ছুটতে থাকে বড় লক্ষ্যের দিকে। শেষ পর্যন্ত ৯৫ রানের জুটি গড়েন তারা। ইনিংসের শেষ বলে রান নিতে গিয়ে আউট হন রাওয়াত, ফেরেন ২৫ বলে ৪৮ রান করে। আর কার্তিক অপরাজিত ছিলেন ২৬ বলে ৩৮ রানে।
ব্যাঙ্গালুরু ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে।