ইয়াশের ফাই-ফারে লক্ষ্ণৌ এর বিজয়
- 1
৬ ভেন্যু, ২ ডাবল হেডার- আইপিএলের বাকি অংশের সূচি প্রকাশ
- 2
মিচেল-কারেন ও পাকিস্তানকে নিয়ে মন্তব্য; এবার ক্ষমা চাইলেন রিশাদ
- 3
বাংলাদেশকে পাকিস্তান সফরের নতুন সূচি পাঠালো পিসিবি
- 4
যু'দ্ধবিরতির খবর শুনে ‘অস্ট্রেলিয়ার বিমান থেকে নেমে পড়েন’ পন্টিং, থাকেন ভারতেই
- 5
২০২৫ গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্স, উদ্বোধনী ম্যাচ ১০ জুলাই

ইয়াশের ফাই-ফারে লক্ষ্ণৌ এর বিজয়
ইয়াশের ফাই-ফারে লক্ষ্ণৌ এর বিজয়
ইয়াশ ঠাকুরের ৫ উইকেটের কল্যাণে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে সহজে জয় লাভ করল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে লক্ষ্ণৌ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসে ৭ বল বাকি থাকতে ১৩০ রানে গুটিয়ে যায় গুজরাট। লক্ষ্ণৌ এর ৩০ রানের জয়ে ভূমিকা রেখেছে ইয়াশের ৫ উইকেট।
লক্ষ্ণৌ এর ঘরের মাঠে ১৬৪ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভদ্রস্থ ছিল গুজরাটের। বিনা উইকেটে দলীয় অর্ধশতক পাড়ি দেন দুই ওপেনার। বিপত্তি বাঁধে শুবমান গিলের উইকেট পড়লে। ইয়াশের শিকার হয়ে অধিনায়ক ফিরেছেন ১৯ রানে।
গিল ফেরার পরের ওভারে কেন উইলিয়ামসনের বিপরীতে বল করে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে এই কিউই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন রবি বিষ্ণয়। গুজরাটের উইকেট পতনের মহড়া শুরু হয়ে যায়।
ওপেনার সাই সুদর্শন যতটুকু ধরে খেলার চেষ্টা করছিলেন, তিনিও ফেরেন ২৩ বলে ৩১ রান করে। ক্রুনাল পান্ডিয়ার সেই ওভারে ফিরেছেন রবি শরৎ। এমন অবস্থায় ৪ উইকেট হারিয়ে ৬১ রানে অবস্থান করছিল গুজরাট।
আশা দেওয়ার মতো ব্যাটসম্যানের অভাবে ভুগছিল দলটি। বিজয় শঙ্কর ও দর্শন নালকান্দে মিলে কিছুটা নিজেদের দিকে ম্যাচ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করলেন। তবে সেই পান্ডিয়া ও ইয়াশ আবারও বিপদ এনেছেন। পান্ডিয়া এসে নালকান্দেকে ফেরান ১২ রানে। তার এক ওভার পরে ইয়াশের ডেলিভারিতে ক্যাচ দিয়ে ১৭ রানে ফেরেন বিজয়, একই ওভারে ফিরেছেন রাশিদ খানও।
পান্ডিয়া ও ইয়াশ দুজনের পকেটে তখন জমেছে ৩ টি করে উইকেট।
রাহুল তেওয়াটিয়া একা হাতে কিছু ব্যবধান কমিয়েছেন। যোগ্য সমর্থনের অভাব বোধ করে গেছেন নিজের ইনিংস শেষ হওয়া অবধি। ১৯তম ওভারে এসে ইয়াশের চতুর্থ শিকার হয়ে বিদায় নিতে হয় তেওয়াটিয়াকে। শেষ হয় তার ২৫ বলে ৩০ রানের ইনিংস।
একই ওভারে নুর আহমাদের উইকেট তুলে গুজরাটকে অলআউট করে দিয়ে পঞ্চম উইকেটের দেখা পান ইয়াশ। ১৮.৫ ওভার খেলে ১৩০ রানে সব উইকেট শেষ হয় গিলের দলের।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্ণৌ দলীয় ১৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে। যেখানে কুইন্টন ডি কক ৬ রানে এবং দেবদূত পাডিকাল ফিরেছেন ৭ রান করে। দুজনের উইকেট তুলেছেন উমেশ যাদব।
তবে দলীয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও মার্কাস স্টইনিস শুরুর সেই ধাক্কাটুকু কাটিয়ে ওঠেন। দুজনের ব্যাটে চড়ে ১০০ পাড়ি দেওয়ার কাছাকাছি ছিল লক্ষ্ণৌ। তবে ৩৩ রানে রাহুল ফিরলে এ জুটিকে দিয়ে তা পূরণ হয়নি। দলের রান তখন ৯১।
ফিফটি করে বিদায় নেন স্টইনিসও। দর্শন নালকান্দের শিকার হয়ে ৫৮ (৪৩) রানে ফিরতে হয়েছে এই ব্যাটারকে। শেষপর্যন্ত আইয়ুশ বাদোনির ১১ বলে ২০ রান এবং নিকোলাস পুরানের অপরাজিত ২২ বলে ৩২ রানের ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে থামে লক্ষ্ণৌ।