চট্টগ্রামের ব্যাটিং ধস, রংপুরের সহজ জয়
৯৭ প্রতিবেদক: নাজিফা তাসনিম
প্রকাশ: 3 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে-
1
বিপিএল খেলা ক্রিকেটারদের নিয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজে পাকিস্তান টিম ঘোষণা
-
2
জোড়াতালির দল থেকে শক্তি বাড়ানোর পথে চট্টগ্রাম রয়্যালস
-
3
তিন বছর আগের সাঙ্গাকারার কথা, আজ বাস্তবে কাজে লাগাচ্ছেন সাকিব
-
4
শেষ বলের রোমাঞ্চে নোয়াখালীকে হারাল সিলেট
-
5
রংপুর ম্যাচের আগে চট্টগ্রামে স্বস্তি, অনুশীলনে চোট পেলেও শঙ্কামুক্ত শরিফুল
চট্টগ্রামের ব্যাটিং ধস, রংপুরের সহজ জয়
চট্টগ্রামের ব্যাটিং ধস, রংপুরের সহজ জয়
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের পঞ্চম ম্যাচটি চট্টগ্রাম রয়্যালসের জন্য রীতিমতো হতাশার গল্প হয়ে থাকল। ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই ধারাবাহিক ব্যর্থতায় রংপুর রাইডার্সের কাছে ৭ উইকেটের সহজ হার মানতে হলো চট্টগ্রামকে।
টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর রাইডার্স। শুরু থেকেই সেই সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করেন তাদের বোলাররা। চট্টগ্রামের ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। ইংলিশ উইকেটকিপার ব্যাটার অ্যাডাম রসিংটন মাত্র ১ রান করে আউট হন। তবে অন্য প্রান্তে কিছুটা লড়াই করেন ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তিনি ২০ বলে ৩৯ রান করেন, মারেন ৭টি চার ও একটি ছক্কা।
নাইমের বিদায়ের পরই চট্টগ্রামের ব্যাটিং যেন দিশেহারা হয়ে পড়ে। মির্জা তাহির বেইগ ২৪ বলে ২০ রান করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। মাহমুদুল হাসান জয় (০), মাহফিজুল ইসলাম (১), অধিনায়ক মাহেদি হাসান (১) মিডল অর্ডারের একের পর এক ব্যর্থতায় দ্রুত রান তোলার সুযোগ হারায় দলটি।
শেষদিকে আবু হায়দার ২১ বলে ১৩ রান আর তানভীর ইসলাম ৮ বলে ৬ রান করলেও স্কোর খুব বেশি এগোয়নি। শেষ পর্যন্ত ১৭.৫ ওভারে ১০২ রানে অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম রয়্যালস।
রংপুরের বোলিংয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন ফাহিম আশরাফ। তিনি ৩.৫ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। তাকে দারুণভাবে সহায়তা করেন মুস্তাফিজুর রহমান (২ উইকেট) ও সুফিয়ান মুকিম (১ উইকেট)।
১০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রংপুর রাইডার্স কোনো তাড়াহুড়ো করেনি। ওপেনার ডাওয়িড মালান একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন দায়িত্বশীল ইনিংস। তিনি ৪৮ বলে ৫১ রান করেন, যেখানে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। অন্য প্রান্তে লিটন দাস খেলেন ঝরঝরে ইনিংস ৩১ বলে ৪৭ রান, স্ট্রাইক রেট ছিল দেড়শর ওপরে।
দুজনের জুটিতেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম। এরপর তাওহীদ হৃদয় (৩ বলে ১) ও মাহমুদউল্লাহ (৪ বলে ১) দ্রুত ফিরে গেলেও জয়ে কোনো প্রভাব পড়ে না। শেষ পর্যন্ত খুশদিল শাহ ৪ বলে ৬ রান করে ম্যাচ শেষ করেন।
রংপুর ১৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৭ রান তুলে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে, হাতে থাকে আরও ৩০ বল।
