খুশি মনে দিন পার করতে পারল না বাংলাদেশ
খুশি মনে দিন পার করতে পারল না বাংলাদেশ
খুশি মনে দিন পার করতে পারল না বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫৩১ রান। লঙ্কানদের ১০ ব্যাটার আউট করতে গিয়ে ৭টি ক্যাচ ফেলছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। সকাল ও দুপুরের এসব হতাশা উড়িয়ে খুশি মনে দিন পার করে দিতে পারত বাংলাদেশ, যদি না জাকির বোল্ড হতেন। মাহমুদুল হাসান জয় আর জাকির হাসানের উদ্বোধনী জুটি বেশ দেখে-শুনেই ইনিংসের শুরু করে, তবে দিনের খেলা যখন একদম শেষে উইকেট হারান জয়। ৪৭ রানের ওপেনিং জুটি, তবুও শক্ত ভিতের ওপরই দাঁড় করিয়ে দিল বাংলাদেশকে। ম্যাচ জিততে বা ম্যাচ বাঁচাতে কাল পাড়ি দিতে হবে কঠিন পথ। ৫৫ করা বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ৪৭৬ রানে।
শ্রীলঙ্কার পাহাড় উচ্চতার সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে বাংলাদেশ পায় উড়ন্ত সূচনা। মাহমুদুল হাসান জয় আর জাকির হাসান এদিন শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছিলেন। চাইলেই টিকে থাকা যায় এমন উইকেটে রানের গতিও বাড়াতে থাকেন তারা। বড় রান তাড়া করতে নেমে ১২ ওভার পর্যন্ত ওপেনাররা স্বস্তিতে রাখে দলকে। শেষ বিকালে জয়-জাকির; দু'জনেই ছিলেন ধীর-স্থির। লঙ্কান বোলারদের বিপদজনক বলগুলো খেলছিলেন সতর্ক পথে, আলগা বল পেলে বাউন্ডারি পাঠাতেও দ্বিধা করেননি।
কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন, লাহিরু কুমার এক দুর্দান্ত ডেলিভারির লাইন মিস করে বোল্ড হন ২১ রানে থাকা জয়, ভাঙে ৪৭ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর নাইটওয়াচম্যান হিসাবে নামা তাইজুল ইসলামকে নিয়ে দিনের বাকি খেলা শেষ করেন জয়। চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫।
আজকের দিনের প্রথম দুই সেশন স্বাগতিকদের জন্য ছিল বড্ড হতাশার। সকালের সেশনে বাংলাদেশের সাফল্য কেবল দীনেশ চান্দিমালের উইকেট। ‘উইকেট টেকার’ বোলার সাকিব আল হাসান না থাকলে আরও একটা উইকেটশূন্য সেশন কাটানো লাগত বাংলাদেশকে। ৪১১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে নামা শ্রীলঙ্কা খালেদ আহমেদের তৃতীয় বলেই হারায় ৬ষ্ঠ উইকেট। সাকিবও পেয়েছেন উইকেট, যা এই টেস্টে তার তৃতীয়।
চা বিরতির পর বাংলাদেশের বোলাররা অবশেষে, ১৫৯ ওভার বল করে গুটিয়ে দিত পারল লঙ্কানদের। আউট হওয়া ১০ ব্যাটারের মধ্যে ৬ জনই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। কোনো ব্যাটারের সেঞ্চুরি ছাড়া এক ইনিংসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এখন শ্রীলঙ্কার, ৫৩১। বিপরীতে বাংলাদেশ সাক্ষী হয়েছে লজ্জার এক রেকর্ডের, এক ইনিংসে টাইগার ফিল্ডাররা ছেড়েছে মোট ৭ ক্যাচ।
ম্যাচের প্রথম দিনে পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে সফরকারীরা। দ্বিতীয় দিনেও চলে তাদের বাকি ব্যাটারদের বাজিমাত। টানা তিন ইনিংসে ফিফটি করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, কামিন্দু মেন্ডিস। আগের দিন সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে আউট হয়েছেন দিমুথ করুণারত্নে ও কুশল মেন্ডিস। কামিন্দু তো ৯২ রানে অপরাজিত থেকে এদিন মাঠ ছাড়েন।