টপ এন্ড সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ এইচপি
টপ এন্ড সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ এইচপি
টপ এন্ড সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ এইচপি
অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশ এইচপি। প্রথম সেমিফাইনালে নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইককে ২১ রানে হারিয়ে আকবর আলির দল নিশ্চিত করল ফাইনালের টিকিট। ফাইনালে বাংলাদেশ এইচপি প্রতিপক্ষ হিসেবে পেল অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সকে। দুই সেমিফাইনালে বিজয়ী দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুপুর সাড়ে ১২টায়।
আগের দিন লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে মাহফুজুর রহমান রাব্বির তাণ্ডবে সেমিফাইনালে পৌঁছে বাংলাদেশ এইচপি। পার্থ স্কর্চার্চকে ৩ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ এইচপি। আজ সিরিজের সেমিফাইনাল টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ এইচপি ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৩৮ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারান জিশান আলম। ৪ রানের বেশি করতে পারেননি এই ওপেনার। তিনে নামা তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে ১১ বলে আসে ১৬। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের সংগ্রহ ২৩ বল খেলে ১৭। আফিফ হোসেন ধ্রুব আজ রানের দেখা পেলেও ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি বেশিদূর। ৪ বাউন্ডারির সাহায্যে তার রান ২২।
অধিনায়ক আকবর আলি হয়েছেন ব্যর্থ, ৮ বল খেলে করেছেন ৩। তবে এদিন স্বস্তি এনে দিয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বিও ছিলেন দুর্দান্ত। রাব্বি ব্যক্তিগত ২১ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও শামীম অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। দলকে ২০ ওভারে এনে দেন ১৩৮ রান। শামীম হোসেনের ৪১ রানের ইনিংসই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দারুণ শুরু পায় নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইক। প্রথম পাওয়ার প্লেতে উইকেট শিকারে ব্যর্থ বাংলাদেশ এইচপির বোলাররা। তবে ৭ম ওভারে আলিস আল ইসলাম এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু। ডি আর্চি শর্টকে ফিরিয়ে আলিস ভাঙেন ৪১ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর জ্যাক ওয়েদার্যাল্ডকে বোল্ড করে দেন রাকিবুল হাসান। ফেরার আগে জ্যাক ২৯ বলে খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস। এরপর আর কেউ তেমনভাবে বড় রান করতে পারেননি।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইক। ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে তাদের রান ১১৭। বাংলাদেশ এইচপির নিশ্চিত হল ২১ রানের রোমাঞ্চকর জয়, আর তাতেই জায়গা করে নিল ফাইনালের মঞ্চে।
বল হাতে এদিন আগুনে ছিলেন পেসার রিপন মন্ডল। ৩৬ রান খরচায় দখলে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ৪ ওভারে ১১ ডট দেওয়া রাকিবুলের শিকার দুই উইকেট। আলিসও সমান ১১ ডটে প্রতিপক্ষকে করেছেন বিপর্যস্ত, তার ঝুলিতে ১ উইকেট।