Image

মোহামেডানকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ: 10 ঘন্টা আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
মোহামেডানকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড

মোহামেডানকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড

মোহামেডানকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড

মোহামেডানকে হারানোর মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের অলিখিত ‘ফাইনাল’ জিতল আবাহনী। ১৬ ম্যাচ শেষে ১৪ জয়ে মোট ২৮ পয়েন্ট পেয়ে শিরোপা উদযাপনে মাতল মোসাদ্দেক হোসেনের আবাহনী দল। এ নিয়ে ২৪ বারের মতো তারা ডিপিএল চ্যাম্পিয়ন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো, অর্থাৎ হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড।

যে জিতবে, শিরোপা তার। সুপার লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচটি যেন পরিণত হয়েছিল ফাইনালে। রোমাঞ্চকর সেই লড়াইয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল আবাহনী। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ ডিপিএল ২০২৪-২৫ মৌসুমের শেষ দিনে নির্ধারণ হল লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল। ঢাকার শীর্ষ ক্লাব টুর্নামেন্টে এই নিয়ে ২৪ বার চ্যাম্পিয়ন হলো আবাহনী। 

নিষেধাজ্ঞার কারণে মোহামেডান আজ পায়নি অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়কে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ তারা খেলতে নামে রনি তালুকদারের নেতৃত্বে। জোড়া ফিফটির পরও সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মোহামেডানকে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আবাহনীকে ২৪১ রানের লক্ষ্য দেয় মোহামেডান। যা টপকাতে নেমে শুরুতেই শাহরিয়ার কমলের উইকেট হারায় আবাহনী। তবে তিনে নামা জিশান আলম দাপট দেখাতে থাকেন আরেক ওপেনার পারভেজ ইমনের সঙ্গী হয়ে।

সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইমন এদিন ২৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও ফিফটি তুলে নেন জিশান আলম। এরমাঝেই উইকেট হারান ১০ রানে থাকা এসএম মেহেরব। জিশানও ফিফটি হাঁকিয়ে টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। নাসুম আহমেদের শিকার হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৫৫ রান। দলীয় ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানো আবাহনীকে এরপর জয়ের পথে নিয়ে যান দুই অভিজ্ঞ মোহাম্মদ মিঠুন আর মোসাদ্দেক হোসেন। 

মিঠুনের পর ফিফটির দেখা পান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। এই দুইয়ের ব্যাটিং দাপটের দিনে আর কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি মোহামেডানের শক্তিশালী বোলিং লাইন। মিঠুন ৬৬ ও মোসাদ্দেক ৭৮ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ৯.২ ওভার আগেই তারা হারিয়ে দিল মোহামেডানকে। 

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া মোহামেডানের দুই ওপেনার রনি ও তৌফিক খান তুষার দুর্দান্ত শুরু করেন। এরপর ১৬ রানের ব্যবধানে ফিরে যান এ দুই ওপেনার। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে রিপন মণ্ডলের শিকার হন রনি। এর আগে তৌফিককে আউট করেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর রান তোলার গতি কমে যায় মোহামেডানের। উইকেটও হারাতে থাকে নিয়মিত বিরতিতে। 

এক পর্যায়ে, ৩০ ওভারে ৪ উইকেটে ১২৪ রানে পরিণত হয় মোহামেডান। এরপর পঞ্চম উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম। দুজনেই ফিফটি করেছেন। ৪৬তম ওভারের শেষ বলে মাহমুদউল্লাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৬২ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। শেষের দিকে সেভাবে রান তুলতে পারেনি মোহামেডান। ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪০ রানে ইনিংস শেষ করে। 

মাহমুদউল্লাহর মতো আরিফুলের ব্যাট থেকেও আসে সমান ৫০ রান। আরিফুল ৫৭ বলের ইনিংসে ৩ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। অধিনায়ক রনি ৪৭ বলে করেছেন ৪৫ রান। আবাহনীর হয়ে এদিন বল হাতে পেসার মৃত্যুঞ্জয় ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

Details Bottom