একযুগ পর কোয়াব নির্বাচন, সভাপতি হলেন মিঠুন আর সহ-সভাপতি সোহান
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ: 10 ঘন্টা আগেআপডেট: 3 মিনিট আগে
একযুগ পর কোয়াব নির্বাচন, সভাপতি হলেন মিঠুন আর সহ-সভাপতি সোহান
একযুগ পর কোয়াব নির্বাচন, সভাপতি হলেন মিঠুন আর সহ-সভাপতি সোহান
অক্টোবরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। তার আগে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি ভবনের সামনে যেন হয়ে গেল সেই নির্বাচনেরই রিহার্সেল। সাবেক ও বর্তমান তারকা ক্রিকেটারদের সরব উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর নির্বাচন।
বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণে মোহাম্মদ মিঠুন ১৫৪ ভোট পেয়ে কোয়াবের সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম শাহেদ পেয়েছেন মাত্র ৩৪ ভোট। ভোট প্রদানের সুযোগ ছিল সরাসরি উপস্থিত ও অনলাইন উভয় মাধ্যমেই, যাতে দেশের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররাও অংশ নিতে পেরেছেন।
ভোট দিতে মিরপুরে সশরীরে হাজির হন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান, সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান বিসিবি পরিচালক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। একইভাবে সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে ভোট দিতে আসেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। দুই তারকাকে দেখা গেছে প্রাণবন্ত এবং সদাহাস্যজ্বল পরিবেশে সময় কাটাতে। তাঁরা দুজনেই ঘোষণা দিয়েছেন, অক্টোবরে বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচন করার, এবং পরবর্তীতে সভাপতির পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার।
ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তামিম ইকবাল বলেন, “আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ১৫-১৬ বছরে এটা দেখতে পারিনি। আজ এটা দেখে আমি নিজেও অনেক খুশি। এমন অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার আছেন, যাঁদের সঙ্গে জীবনে এই প্রথম দেখা হয়েছে। পুরো বিষয়টা একটা সুন্দর কার্নিভালের মতো হয়েছে। এটা ধরে রাখতে হবে। কঠিন সময় এখন শুরু হবে রিফর্ম করা, নির্বাচন করা, নতুন সভাপতি... কমিটি তো প্রায় পেয়েই গেছি। এরপর যে কাজগুলো রয়েছে, সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে।”
নিজে প্রার্থী না হওয়ার ব্যাপারে তামিম বলেন, “আপনারাও জানেন আমি কী কারণে (কোয়াব নির্বাচনে) আসিনি। আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন।”
নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোহাম্মদ মিঠুন ও সেলিম শাহেদ। মোট ১৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন মিঠুন, যেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম শাহেদ পেয়েছেন মাত্র ৩৪ ভোট।
নির্বাচনে জয়লাভের পর মিঠুন বলেন, “আমি ক্রিকেটারদের পক্ষের মানুষ, প্রয়োজনে ক্রিকেটারদের জন্য বোর্ডের সাথেও সব ধরনের লড়াই করব।”
নবনির্বাচিত কমিটিতে এবার ছিল না কোনো সাধারণ সম্পাদক পদ। সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ এবং সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান।
সভাপতি পদ ছাড়া কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্যান্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন:
খালেদ মাসুদ পাইলট, ইমরুল কায়েস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলি, রুমানা আহমেদ, শামসুর রহমান শুভ, ইরফান শুক্কুর।
তবে সভাপতি পদ ছাড়া অন্য কোনো পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় নির্বাচন নিয়ে কিছু সমালোচনাও উঠেছে। অনেকে মনে করছেন, শুধুমাত্র নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার জন্যই সেলিম শাহেদ প্রার্থী হয়েছিলেন, যাতে পুরো প্রক্রিয়া একপাক্ষিক মনে না হয়। তবে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত সশরীর ভোটগ্রহণে সেই বিতর্ক অনেকটাই ম্লান হয়েছে।
কোয়াব নির্বাচন শেষে ক্রিকেট অঙ্গনে আশাবাদের পাশাপাশি সামনে বিসিবি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতির হাওয়া আরও জোরালো হয়েছে।