চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত করল নিউজিল্যান্ড

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত করল নিউজিল্যান্ড
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত করল নিউজিল্যান্ড
আক্ষেপ— যদি নিউজিল্যান্ডকে হারানো যেত! বাংলাদেশ আজ কিউইদের হারাতে পারলে অনেক হিসাব-নিকাশের পালা থাকত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে সর্বস্ব ঢেলে দেওয়ার বদলে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বাজে প্রদর্শনী মেলে ধরলেন মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিমরা। আর তাতেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত করল নিউজিল্যান্ড। নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মিচেল স্যান্টনারের দল।
রাওয়ালপিন্ডিতে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। মন খারাপ নিশ্চয়ই; গুরুত্ব হারিয়ে ফেলল টুর্নামেন্টে টাইগারদের বাকি থাকা পাকিস্তান ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়াতে কোন সমীকরণ ছাড়াই বাদ পড়ল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ফলে 'এ' গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালের টিকিট পেল নিউজিল্যান্ড ও ভারত। ২৭ তারিখের পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ দু'দলের কাছেই কেবল নিয়মরক্ষার।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে টিকে থাকার চেষ্টাতেই কমতি ছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের। প্রতিপক্ষের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণের উদাহরণ তৈরি করেন। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের অবদান ব্যর্থ করে দিয়েছেন মুশফিক, রিয়াদরা। অহেতুক ব্যাট চালিয়ে উইকেট বিতরণ করে আসেন ড্রেসিংরুমে। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন নাজমুল শান্ত ও জাকের আলি। শুরুতে শান্ত, শেষে জাকেরের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে বাংলাদেশ ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান করতে পারে। এক মাইকেল ব্রেসওয়েল বিধ্বস্ত করেন বাংলাদেশের ব্যাটিং। ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট, যা তার ওয়ানডের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার।
সহজ লক্ষ্য টপকাতে নেমে অবশ্য শুরুতেই বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে বোল্ড হন শূন্য রানে থাকা ওপেনার উইল ইয়াং। নাহিদ রানা নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে বিদায় করেন তিনে নামা কেন উইলিয়ামসনকে। ৪ বল খেলা কেন ৫ রানের বেশি করতে পারেননি।
দলের ১৫ রানে দুই উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে এরপর পথ দেখান ডেভেন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। এই দুইয়ের জুটি থেকে রান আসে ৫৭। কনওয়েকে ফিরিয়ে মুস্তাফিজ বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন। তবে টাইগারদের লড়াই জমাতে দেননি টম লাথাম আর রাচিন রবীন্দ্র। দু'জনেই পেয়ে যান ফিফটির দেখা। এই জুটিও সহজেই শতরান পেরিয়ে যায়।
১১ চার ও ১ ছক্কায় ৯৫ বলে সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়ে ১১২ রানে উইকেট হারান রাচিন। রিশাদের জন্যে ভাঙে লাথাম-রাচিনের ১২৯ রানের পার্টনারশিপ। এরপর ৫৫ রানে ফিরে যান লাথামও। গ্লেন ফিলিপস আর মাইকেল ব্রেসওয়েল মিলে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ২৩ বল হাতে রেখে।