সৌন্দর্য্যে বিশ্বচর্চায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ: 4 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে-
1
পন্টিংয়ের আস্থা, ভিরাট রোহিত ২০২৭ বিশ্বকাপেও থাকতে পারেন
-
2
টি-টোয়েন্টিতে ফিরলেন বাবর আজম, নতুন অধ্যায়ে পাকিস্তান দলে বড় পরিবর্তন
-
3
আটলান্টায় বদলে যাওয়া সাকিব, এখনো বিদায় নেয়ার স্বপ্ন দেখেন দেশের মাটিতেই
-
4
পুরনো স্মৃতির ছোঁয়ায় জিম্বাবুয়ের আফগান জয়
-
5
বিশ্বকাপের জন্য দুই তিন মাসের পরিকল্পনাই যথেষ্ট মনে করেন মিরাজ
সৌন্দর্য্যে বিশ্বচর্চায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
সৌন্দর্য্যে বিশ্বচর্চায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
সিলেটের নয়নাভিরাম চা বাগানের পাদদেশে দাঁড়িয়ে আছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ‘দুটি পাতা, একটি কুড়ির’ শহর সিলেটের নান্দনিকতার আরেক অনন্য প্রতীক যেন এই ক্রিকেট মাঠ। মাঠের উত্তর-পূর্বে বিস্তৃত সবুজ চা বাগান, উঁচু নিচু ঠিলাজুড়ে সবুজের মায়া ছড়ায় চারপাশে। মাঠের পশ্চিম পাশের পাহাড়ঘেরা উঁচু ঠিলার ‘গ্রীণ গ্যালারি’ যেন সেই সবুজেরই প্রতিচ্ছবি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়েছেন দেশ-বিদেশের প্রায় সব ক্রিকেট তারকা। যাঁরা একবার এখানে খেলেছেন, তাঁরা মুগ্ধ হয়েছেন মাঠের পরিবেশ ও সৌন্দর্যে। এবার সেই সৌন্দর্য্যের স্বীকৃতি এসেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও।
ইংল্যান্ডের ক্রিকেটভিত্তিক নিউজ পোর্টাল ‘Cricket365’-এর বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর সাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তালিকায় জায়গা পেয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পঞ্চম স্থানে। এই তালিকায় সিলেট পেছনে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন সামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও ঐতিহ্যবাহী লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডকেও।
২০০৭ সালে নির্মিত এই মাঠ সম্পর্কে ‘Cricket365’ লিখেছে, “বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে পাহাড় ও চা বাগানের মাঝখানে অবস্থিত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম চোখের জন্য এক আনন্দের স্থান। চারপাশের নির্মল সবুজ দেখে মনে হয় যেন কোনো সবুজ স্বর্গের মাঝখানে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। সিলেটের প্রাকৃতিক দৃশ্যের পটভূমি বিশেষ করে সকাল বা সন্ধ্যার আলোয় আরও মোহনীয় হয়ে ওঠে, যখন পাহাড়ে কুয়াশা জমে থাকে আর গোধূলির আলো মাঠকে ঘিরে রাখে।”
তবে সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি উপযোগিতার দিক থেকেও এই স্টেডিয়াম দেশের ক্রিকেটে এক মাইলফলক। এখানে রয়েছে চারটি আধুনিক ড্রেসিংরুম ও ক্রিকেটারদের অনুশীলনের জন্য জিমনেসিয়াম। মাঠের দুই পাশে অনুশীলন নেট সুবিধা রয়েছে। মূল মাঠের দক্ষিণ পাশে আরও একটি মাঠ, যা এখন পরিচিত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় গ্রাউন্ড হিসেবে।
এই দ্বিতীয় মাঠের একপাশে রয়েছে কংক্রিটের স্থাপনা, যেখানে আধুনিক ড্রেসিংরুম, প্রেসিডেন্ট’স বক্স, মিডিয়া সেন্টারসহ নানা সুযোগ-সুবিধা আছে। মাঠটিতে রয়েছে নয়টি সেন্টার উইকেট এবং দুই পাশেই নেট অনুশীলনের জন্য আটটি করে উইকেট।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে জাতীয় ক্রিকেট লিগের মাধ্যমে এই মাঠের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত আসরগুলো এখানেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাশাপাশি বিপিএলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সিরিজের সময়ও মাঠটি অনুশীলন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
Cricket365-এর সুন্দরতম স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেটের সঙ্গে স্থান পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার নিউল্যান্ডস ক্রিকেট স্টেডিয়াম, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভাল, ভারতের ধর্মশালা এইচপিসিএ স্টেডিয়াম, পাকিস্তানের গওয়াদর ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন সামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং ইংল্যান্ডের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড।
সবুজের এই স্বর্গে ক্রিকেট যেন শুধু খেলা নয়, এক অনুভব। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সেই অনুভবেরই নাম, যেখানে প্রকৃতি ও খেলাধুলা মিলেমিশে তৈরি করেছে এক অনন্য সৌন্দর্য্যের গল্প।
