মিরপুরে ধৈর্যের দেয়াল ভেঙে বাংলাদেশের দাপুটে সিরিজ জয়
৯৭ প্রতিবেদক: নাজিফা তাসনিম
প্রকাশ: 3 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে-
1
পঞ্চম দিনের অপেক্ষা, মিরপুরে বিরল দৃশ্যের সামনে বাংলাদেশ
-
2
মিরপুরে আরেক মাইলফলকে বাংলাদেশ, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তাইজুলের স্বপ্ন শুরু না হওয়া যাত্রা
-
3
ভারত সফরে পূর্ণ শক্তির দল ঘোষণা দক্ষিণ আফ্রিকার
-
4
এটা টিম গেম, মুশফিককে সেঞ্চুরি করতে সুযোগ না দেয়ার ব্যাপারে আশরাফুল
-
5
নিউজিল্যান্ডের হোয়াইটওয়াশ, সিরিজে ক্যারিবীয়দের ছাড় দিল না কিউইরা
মিরপুরে ধৈর্যের দেয়াল ভেঙে বাংলাদেশের দাপুটে সিরিজ জয়
মিরপুরে ধৈর্যের দেয়াল ভেঙে বাংলাদেশের দাপুটে সিরিজ জয়
শেষ দিনের সকালটা যেন শুরু হয়েছিল নতুন এক পরীক্ষার মুখে দাঁড়িয়ে। জয়ের পথ মোটামুটি পরিষ্কার থাকলেও আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফারের একাগ্রতা আর নীচের সারির ব্যাটারদের অটল সঙ্গ বাংলাদেশের কাজটাকে অপ্রত্যাশিতভাবেই কঠিন করে তুলছিল। তবে সব জট খোলার চাবিটা হাতে নিয়ে ঠিকই উপস্থিত হলেন হাসান মুরাদ। দ্বিতীয় সেশনের মাঝামাঝি পরপর দুই বলের দুই আঘাতে শেষ করে দিলেন আইরিশদের দীর্ঘ প্রতিরোধ।
দ্বিতীয় টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে ২১৭ রানে হারিয়ে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। ৫০৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১৩.৩ ওভার ব্যাট করেও ২৯২ রানে থামে সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস। মিরপুরে কোনো বিদেশি দলের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করার নতুন রেকর্ড এটি। আগের দিনের ৬ উইকেটে ১৭৬ থেকে শুরু করে শেষ দিনেও তারা লড়েছে টেনে ৫৯.৩ ওভার।
বাংলাদেশের সাফল্যের মূলে ছিলেন দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও হাসান মুরাদ। প্রথমজন নেন ১০৪ রানে ৪ উইকেট, ম্যাচে মোট ৮টি। আর নবাগত মুরাদ তুলে নেন ৪৪ রানে ৪টি উইকেট, যার মধ্যে শেষ দুটি ছিল ম্যাচ-সংজ্ঞায়িত আঘাত। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম শততম টেস্টে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করার কীর্তিতে।
আইরিশদের লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। ব্যাট হাতে অসাধারণ ধৈর্য দেখিয়ে ২৫৯ বল মোকাবিলা করে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি মিরপুরে চতুর্থ ইনিংসে এক ব্যাটারের সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ড এখন তার। প্রথম সেশনে আয়ারল্যান্ড খেলেছে ৩৯ ওভার, হারিয়েছে মাত্র ২ উইকেট। লাঞ্চ প্রলম্বিত হওয়া সত্ত্বেও ব্যাটিংয়ে অনমনীয়তা বজায় রেখেছিলেন তারা।
দিনের শুরুতে অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের সঙ্গে ক্যাম্ফারের জুটি আয়ারল্যান্ডকে দেয় শক্ত ভিত। ১০৯ বলে আসে ২৬ রান, এরপর ম্যাকব্রিনকে এলবিডব্লিউ করে নিজের ২৫০তম টেস্ট উইকেট শিকার করেন তাইজুল। এরপর জর্ডান নেইল ও পরে গাভিন হোয়েক যারাই সঙ্গী হয়েছেন ক্যাম্পারের, সবাই মিলে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছেন। ৮ম উইকেটে ৮৫ বলে ৪৮ এবং হোয়েকের সঙ্গে ১৯১ বলের লড়াই বাংলাদেশকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় রেখেছিল।
কিন্তু অপেক্ষার অবসানটা আসে নাটকীয়ভাবে। ১১৪তম ওভারে প্রথমে হোয়েককে এলবিডব্লিউ করে ভাঙেন দীর্ঘ জুটি, পরের বলেই ম্যাথু হ্যামফ্রিসকে বোল্ড করেন মুরাদ। সেই সঙ্গে শেষ হয়ে যায় আইরিশদের প্রতিরোধ, আর বাংলাদেশের হয়ে লেখা হয় সিরিজ হোয়াইটওয়াশের মধুর অধ্যায় পঞ্চমবারের মতো।
