Image

নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 6 মাস আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ

নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ

নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ

নিজের করা প্রথম বলেই বাউন্ডারি হজম করেন তানজিম হাসান সাকিব। তবে সেই সাকিবই কিনা পরবর্তী ২৩ বলে দেন আর মাত্র ৩ রান। এক স্পেলেই কোটার ৪ ওভার করেন, ২ মেডেন সহ ৭ রান খরচে পান ৪ উইকেট। ডানহাতি এই পেসারের এই ক্যারিয়ার সেরা ফিগারেই লো স্কোরিং ম্যাচে নেপালকে হারিয়েছে বাংলাদেশ, নিশ্চিত করেছে সুপার এইটে খেলা। 

সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে আরনোস ভ্যালে গ্রাউন্ডে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৯.৩ ওভারে ১০৬ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে তানজিম হাসান সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে ৮৫ রানেই গুটিয়ে যায় নেপাল। বাংলাদেশ জয় পায় ২১ রানের। 

ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সোমপাল কামির বলে তাকেই ক্যাচ তুলে দেন তামিম। তিনে নেমে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫ বল খেলে দীপেন্দ্র সিং আইরির বলে বোল্ড হন তিনি। 

লিটন দাসও এদিন নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি, ১২ বল খেলে ১ চারে করেন কেবল ১০ রান। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরু করা তাওহীদ হৃদয় ২ অঙ্ক স্পর্শ করতে ব্যর্থ, আউট হন ৭ বলে ৯ রান করে। ৩০ রানেই সাজঘরে ৪ বাংলাদেশ ব্যাটার। 

সেখান থেকে দল এগিয়ে যাচ্ছিল সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জুটিতে। তবে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পরেন রিয়াদ। ১৩ বলে ২ চারে ১৩ রান করেন তিনি। 

এরপর সাকিব আল হাসানও টেকেননি বেশিক্ষণ। ২২ বল খেলে ২ চারে দলীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপর দুই অঙ্ক স্পর্শ করেন জাকের আলি অনিক (১২) ও রিশাদ হোসেন (১৩)।   

শেষমেশ ১৯.৩ ওভারে ১০৬ রান করে অলআউট হয় বাংলাদেশ। শেষ উইকেটে ১৮ রান যোগ করে বাংলাদেশকে ১০০ পার করান তাসকিন আহমেদ (১২*) ও মুস্তাফিজুর রহমান (৩)। 

বাংলাদেশকে ১০৬ রানে গুটিয়ে দিতে ২ টি করে উইকেট নেন সোমপাল কামি, দীপেন্দ্র সিং আইরি, রোহিত পডেল ও স্বন্দ্বীপ লামিচানে। 

বাংলাদেশ যেমন উইকেট হারিয়ে শুরু করে, নেপাল সেখানে শুরু করে বাউন্ডারি দিয়ে। তবে তানজিম হাসান সাকিব ২য় ওভারে বল করতে এসে নেপালকে নাড়িয়ে দেন। কোন রান না দিয়ে সেই ওভার থেকে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। কুশাল ভুর্তেলকে বোল্ড করেন, অনিল শাহকে শান্তর ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। 

নিজের করা ৩য় ওভারেও দেন মেডেন, সেই ওভার থেকে আসে ১ উইকেট। নেপাল অধিনায়ক রোহিত পডেলকে রিশাদ হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। মাঝে মুস্তাফিজুর রহমান তুলে নেন আসিফ শেখের উইকেট। ইনিংসের ৭ম ও নিজের ৪র্থ ওভারের শেষ বলে তানজিম সাজঘরে ফেরান স্বন্দ্বীপ ঝাঁ'কে। ২৬ রানেই নেপাল হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। ২৪ বলের মধ্যে ২১ টি ডট বল করা তানজিম দেখা পান ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারের (৪-২-৭-৪)। 

৭ ওভারে ২৬ রানেই ৫ উইকেট হারানোর পরও হাল ছেড়ে দেয়নি নেপাল। ৬ষ্ঠ উইকেটে কুশল মাল্লা ও দীপেন্দ্র সিং আইরি নেপালকে পথেই রাখেন। এই দুজন ৫২ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের চিন্তা বাড়ান। ২৭ রান করা মাল্লাকে আউট করে জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। 

মুস্তাফিজ পরে নেন আরও এক উইকেট। পেনাল্টিমেট ওভারে এসে দীপেন্দ্র সিং আইরির উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ দেন মেডেন। ৪ ওভারে ১ মেডেন দিয়ে ৭ রান খরচে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। 

শেষ ওভারে বল করতে এসে ৩ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট নিয়ে নেপালকে গুটিয়ে দেন সাকিব। 

নেপালের বিপক্ষে এই জয়ে বাংলাদেশ নিশ্চিত করল সুপার এইট খেলা। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান। 

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three