আবারও জোড়া সেঞ্চুরি, লিডের পাহাড়ে শ্রীলঙ্কা
আবারও জোড়া সেঞ্চুরি, লিডের পাহাড়ে শ্রীলঙ্কা
আবারও জোড়া সেঞ্চুরি, লিডের পাহাড়ে শ্রীলঙ্কা
দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকালে লঙ্কানদের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। আজ সকালের সেশনে প্রাপ্তি কেবল নাইটওয়াচম্যান বিশ্ব ফার্নান্দোর উইকেট। আগের দিনই মিলেছে কার্যকর লিড। আজ রেকর্ড গড়া জোড়া সেঞ্চুরিতে সেই লিড আরও বাড়িয়ে নেন অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাট। সিলেট টেস্টের লাগাম তাই পুরোপুরি শ্রীলঙ্কার হাতে। ৯৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করা শ্রীলঙ্কার লিড ৪৩০।
সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন আজ। আগের দিন পাওয়া ২১১ রানের লিড নিয়ে শ্রীলঙ্কা আজ ৫ উইকেট নিয়ে নামে ব্যাটিংয়ে। নাইটওয়াচম্যান হিসাবে গতকাল বিকালে ব্যাটিংয়ে নামা বিশ্ব ফার্নান্দো আজ অবশ্য ফিরেছেন দ্রুত। এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর কামিন্দু মেন্ডিস মিলে গড়েন ১৭৩ রানের পার্টনারশিপ। তাতেই যেন লিডের পাহাড় হয়ে যায় লঙ্কানদের। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই কামিন্দু মেন্ডিসের রেকর্ড দুই সেঞ্চুরি।
৩৮.৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে যখন শ্রীলঙ্কার রান ১২৬, তখন তারা হারায় ৬ষ্ঠ উইকেট। এরপর অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গী হন সেই কামিন্দু মেন্ডিস। সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের জন্য রীতিমতো দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। দুজনেই প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন সেঞ্চুরির দেখা, গড়েছেন রেকর্ড ২০২ রানের জুটি। তারা ফের বাংলাদেশের বোলারদের দেন চোখ রাঙানি।
শুরুতে নড়বড়ে কামিন্দু মেন্ডিস সময়ের সাথে ফিরেছেন চেনাছন্দে। একপ্রান্ত আগলে রাখা অধিনায়কের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের সাথে অন্যপ্রান্তে রানের চাকা সচল রাখার কাজটা দারুণভাবে সামলান। দুজনেই পাল্লা দিয়ে রান যোগ করছেন। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ধনঞ্জয়া আজ ফিফটি ছুঁয়েছেন ৮২ বলে। ক্যারিয়ারের ১২তম শতক থেকে ১৫ রান দূরে থেকে ধনঞ্জয়া যান মধ্যাহ্নভোজ বিরতিতে। শতক পর্যন্ত যেতে খরচ করেন সমান ৮২ বল। এবারই প্রথম এক টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেলেন ডি সিলভা।
৩৮.৫ থেকে ৮৪.২ ওভারে গিয়ে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত ব্রেকথ্রু। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ড ছুঁয়ে ব্যক্তিগত ১০৮ রানে উইকেট হারান লঙ্কান অধিনায়ক, ভাঙে ১৭৩ রানের জুটি। ধনঞ্জয়ার দেখানো পথে হাঁটেন কামিন্দু মেন্ডিসও। ৬৯ বলে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ, এরপর একের পর এক স্ট্রোক্সে ছুটতে থাকেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে। ১৭০ বলে ছুঁয়েছেন ব্যাক টু ব্যাক শতক হাঁকানোর মাইলফলক।
এর আগে মাত্র দু'বার একই দলের দুই ব্যাটার টেস্ট ম্যাচের দুই ইনিংসেই ১০০ রান করেছেন। ধনঞ্জয়া-কামিন্দুর আগে ১৯৭৪ সালে দ্য চ্যাপেল ব্রাদার্স এই রেকর্ড প্রথমবারের মতো লিখেন। এরপর ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই পাক ব্যাটার আজহার আলি ও মিসবাহ উল হক এই রেকর্ডে ভাগ বসান।