বিশ্বকাপ মাতাতে শান্ত-সাকিব-রিয়াদের দিকে তাকিয়ে সৌম্য
বিশ্বকাপ মাতাতে শান্ত-সাকিব-রিয়াদের দিকে তাকিয়ে সৌম্য
বিশ্বকাপ মাতাতে শান্ত-সাকিব-রিয়াদের দিকে তাকিয়ে সৌম্য
সৌম্য সরকারের মধ্যে কী এমন আছে? কেন তাকেই বারবার ডাকা হয়? এর সবচেয়ে সহজ উত্তর হয়তো থাকবে কোচ ও অধিনায়কের কাছে। ধারাবাহিক না তবুও সৌম্যতেই যেন ভরসা। এর যথেষ্ট কারণও রয়েছে, সৌম্যর ব্যাটিংয়ে এমন কিছু আছে যা অন্যদের থেকে আলাদা। এই সৌম্য সরকারই এবার প্রশংসায় মাতলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। শান্তর নেতৃত্বে করে দেখাতে চান নতুন কিছু। বলেছেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল এবার ভালো করবে। তাকিয়ে, সাকিব-রিয়াদের অভিজ্ঞতার দিকে।
আগের ম্যাচে আউট হয়েছিলেন কোনো রান না করেই। প্রস্তুতি ম্যাচ তাই খুব একটা মন খারাপের কারণ নেই। তবে ৮ই জুন নিজেদের বিশ্বকাপ শুরুর অভিযানে আগের সব সুখস্মৃতি নিয়ে সৌম্য হতে চাইবেন বিধ্বংসী। পুরো আসর জুড়েই ওপেনিংয়ে সৌম্যর ওপর আস্থা রাখতে পারে বাংলাদেশ দল। তবে সবশেষ কিছুদিন আছেন খাপছাড়া। ক্যারিয়ারে নানা সময়ে বেশ তিক্ততার মাঝ দিয়ে গেছেন। সৌম্য সরকার তার সেরা দিনে কি করতে পারেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত ডিসেম্বরে নেলসনে দেখিয়েছেন । বাকিদের ব্যর্থতায় একা খেলে ১৫১ বলে করেন ১৬৯। সমস্যা হলো তার এমন সেরা দিন আসে কমই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞদের নিয়েই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরসা। বিশ্বকাপ মিশনে দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রকাশিত ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরিতে’ সৌম্য বলেছেন,
'শান্ত নতুন অধিনায়ক, সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাই আছে, আমরাও অনেক দিন ধরে খেলছি। সবার অভিজ্ঞতাকে একসাথে করে দল হিসেবে খেললে আশা করি আমরা একটা ভালো টুর্নামেন্ট উপহার দিতে পারব।'
শান্তর অধিনায়কত্বে ঘরের মাঠে গেল শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন। ইতিবাচক সৌম্য এরপর বলেন,
'শেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজে একসাথে ছিলাম। দেখেছি সে পুরো দলকে একত্র করে ভালো করার চেষ্টা করেছে। আশা করি সবকিছু একত্র করে একটা বিশ্বকাপে সে সবাইকে সামনে নিয়ে আসতে পারবে। আমার পক্ষ থেকে তার জন্য শুভকামনা, আশা করব সে বাংলাদেশকে অধিনায়কত্বের দিক থেকে নতুন কিছু উপহার দিবে।'