ডিপিএলে খেলতে নেমেই ম্যাচসেরা মাশরাফি
ডিপিএলে খেলতে নেমেই ম্যাচসেরা মাশরাফি
ডিপিএলে খেলতে নেমেই ম্যাচসেরা মাশরাফি
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আজ ছিল ৩ টি ম্যাচ। সবচেয়ে আলোচনা সৃষ্টি করেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের মধ্যকার ম্যাচটি। যে ম্যাচে আজ দেখা গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। শুধু দেখা যায়নি, পারফর্ম করেছেন, সংগ্রহ করেছেন ৫ উইকেট। দল পেয়েছে জয়ের দেখা। দিনের অন্য দুই ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব জয় পেয়েছে।
মাশরাফি সবসময়ই কিছুটা চমক নিয়ে আসেন। এবার ডিপিএলের মাঠে সেই কাজটি করলেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মাঝপথে সংসদীয় দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন বলে খেলা থেকে সরে গেলেন। বিপিএলে আর ফেরেননি তখন।
এবার ডিপিএলে রুপগঞ্জের হয়ে মাঠে নেমে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন। গাজী গ্রুপের ব্যাটিং লাইন-আপকে অনেকটা একা হাতে ধসিয়ে দিলেন মাশরাফি। ৮ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ টি উইকেট। এতে আনিসুল ইসলাম ইমনের ইনিংস সর্বোচ্চ ৪১ রান বাদে, বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ায়। গাজী গ্রুপ গুটিয়ে যায় ১৩৬ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৮ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত ছিলেন ৪৭ রান করে।
পারটেক্স ও মোহামেডানের ম্যাচটিও অল্প রানে গড়িয়েছে। প্রথমে ব্যাট করতে নামা পারটেক্স ব্যাটিংয়ে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারে না। মিজানুর রহমানের ফিফটি, তানভীর হায়দারের ৪১ রানে ভর দিয়ে ১৮৭ রানে অলআউট হয় দলটি।
মোহামেডানের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তোলেন আবু হায়দার রনি।
রান তাড়া করতে গিয়ে ৪২.২ ওভারে জয় নিশ্চিত করে মোহামেডান। মাহিদুল ইসলাম অংকন অপরাজিত ৭০ রান করেছেন। এছাড়াও প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের ব্যাটে এসেছে ৬০ রান। ফলে জয় পেতে খুব বেশি প্রম দিতে হয়নি মোহামেডানকে।
ফতুল্লায় মুখোমুখি হয়েছিল শাইনপুকুর ও গাজী টায়ার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নামা শাইনপুকুর সব উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন ইরফান শুক্কুর। বাকিরাও অল্প অল্প রানে দলীয় যোগফল বাড়িয়েছে।
গাজী টায়ার্সের পক্ষে মারুফ মৃধা একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে গাজী টায়ার্স অলআউট হয়েছে ১৫১ রান করে। দলের পক্ষে শামীম মিয়া সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। ব্যাটিং বিপর্যয় ও ইনিংস ধরে না রাখার ফল দিতে জয় গাজী টায়ার্সকে।
শাইনপুকুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। তবে ৬ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট সংগ্রহ করা রবিউল হক হয়েছেন ম্যাচ সেরা। তিনি ব্যাট হাতে ১১ বলে ২১ রান করেন।