Image

শেষের রোমাঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ রানের জয়

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 5 মাস আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
শেষের রোমাঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ রানের জয়

শেষের রোমাঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ রানের জয়

শেষের রোমাঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ রানের জয়

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ৮ ম্যাচ খেলে সবকটিতেই হার দেখা বাংলাদেশ আজ নিউইয়র্কে প্রায় লিখেই ফেলেছিল নতুন ইতিহাস। তবে শেষের বাজে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ হারল ৪ রানে। প্রোটিয়াদের মাত্র ১১৩ রানে আটকে দিয়ে বাংলাদেশ করতে পারে ১০৯। দেশের প্রয়োজনে আরও একবার দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে রিয়াদ শেষ বলের আগে বাউন্ডারি লাইনে হয়েছেন ক্যাচ। ফের তাওহীদ হৃদয় দেখালেন দাপুটে ব্যাটিং। তবুও পাওয়া হল না জয়, ৪ রানের পরাজয়।

টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতেই পড়ে চরম বিপর্যয়ে। স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৩ রান ওঠতেই তাদের নেই ৪ উইকেট। ৪ উইকেটের ৩টি একাই নেন তানজিম হাসান সাকিব। এরপর ডেভিড মিলার আর হেনরিখ ক্লাসেন মিলে সামলে দেন বিপর্যয়। ৭৯ বলের জুটিতে তাদের সমান ৭৯ রান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১১৩ রানে থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস। 

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য হয় দারণ। তবে মুহূর্তেই উইকেট হারিয়ে বসেন তানজিদ তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কাগিসো রাবাদাকে ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শেষ বলে ডি ককের গ্লাভসে ক্যাচ ৯ রান করা ওপেনার তামিম। তিনে নামা লিটন দাসকে নিয়ে এরপর সংগ্রহ বাড়াতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। 

পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা যেখানে ৪ উইকেট হারিয়ে করে ২৫ রান, সেখানে ১ উইকেটে বাংলাদেশের ২৯। লক্ষ্য তাড়ায় বেশ দেখে-শুনেই এগোতে থাকে শান্ত-লিটন। কিন্তু তাদের জুটির রান ২০ ছুঁতেই লিটন দাসের বিদায়। ১৩ বলে ৯ রান করা লিটন কেশব মহারাজের প্রথম বলেই দুর্ভাগ্যজনক ভাবে মিলারের হাতে ক্যাচ। ২৯ রানে বাংলাদেশ হারায় দ্বিতীয় উইকেট। 

টানা নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া সাকিব আল হাসান নেই নিজের চেনা ছন্দে। পরপর দুই ম্যাচেই সাকিব হয়েছেন ব্যর্থ। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ৮ করা সাকিব আজ ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। আনরিখ নরকিয়ার পেস আর বাউন্সারে ব্যর্থ সাকিব মার্করামের হাতে হয়েছেন সহজ ক্যাচ। 

থিতু হয়ে যাওয়া অধিনায়ক শান্তকেও একইভাবে ফিরিয়েছেন নরকিয়া। ১৪৬ কিমি গতির বাউন্সারে হুক খেলতে গিয়ে গন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৩ বলের ইনিংসে ১ ছক্কায় ১৪ রান। পঞ্চাশ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তখনও জয় থেকে ৬৪ রান দূরে। তাওহীদ হৃদয় তখন সঙ্গী হিসাবে পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। 

৩৪ বলে ৩৭ রান করে তাওহীদ হৃদয় পড়েন লেগ বিফোরের ফাঁদে। রিভিউ নিয়েও আম্পায়ার্স কলের কারণে উইকেট বাঁচাতে পারেননি। জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ১১ রান। কিন্তু কেশব মহারাজের এই ওভারেও কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হেরেছে ৪ রানে।

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three