সেমিতে যাবার চেষ্টা না দেখে হতাশ মাশরাফি যা বললেন
- 1
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না রাখতে তামিমের অনুরোধ, তবে...
- 2
চমক দিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণা
- 3
২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি প্রকাশ করল আইসিসি
- 4
সাইম আইয়ুবের আরও এক সেঞ্চুরি, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান
- 5
বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে স্কোয়াড ঘোষণা
সেমিতে যাবার চেষ্টা না দেখে হতাশ মাশরাফি যা বললেন
সেমিতে যাবার চেষ্টা না দেখে হতাশ মাশরাফি যা বললেন
গেলবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সেমিফাইনালে যাবার সমীকরণ ছিল সহজ। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই হত। সেবার সেটা করতে পারেনি টাইগাররা। এবারে অবশ্য একটু কঠিন সমীকরণ ছিল। শেষ ম্যাচ আফগানিস্তানকে হারাতে তো হতই, মেলাতে হত রানরেটের হিসাব।
আফগানদের ১১৫ রানে আটকে রেখে টাইগাররা সেই সমীকরণ হাতের নাগালেই রাখে। ১২.১ ওভারে ১১৬ রান তুললেই সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত। অথচ তেমন ইন্টেন্ট দেখা যায়নি লিটন দাস ছাড়া বাকিদের।
১২.১ ওভারের সমীকরণ তো মেলাতে পারেইনি, টাইগাররা শেষমেশ ম্যাচও হেরেছে। ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকা লিটন দাস পরাজিত দলে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগাররা কেনো ১২.১ ওভারে ১১৬ রান তোলার জন্য খেলেনি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
তাঁর মতে এই ম্যাচ শুধু জয়ের জন্য খেলার কোন মানে ছিলনা। জিতলেও সেটা হত বিবেকের পরাজয়। তবে আফগানদের মানসিকতার প্রশংসা করেছেন তিনি।
নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে মাশরাফি বিন মর্তুজা লিখেছেন, 'লিটনের ইনটেন্ট আর নন স্ট্রাইকারের নীরবতা দেখে বোঝা যায় ক্লিয়ার কোন ম্যাসেজ ব্যাটিং ইউনিটের কাছে ছিলোনা। আর যদি থেকেই থাকে তাহলে প্রতি এক বা দুই ওভার পরপর চেন্জ হয়েছে যেটা শেষমেষ এমন যায়গায় দাড়িয়েছে যে শ্রেফ ম্যাচটা জিতে।
অথচ আজকের হিসাবটা ছিলো শুধুই ১২.১। এর বাইরে কিছুই ভাবার সুযোগ ছিলোনা। তাতে যদি ৫০ রানেও দল অল আউট হতো অন্ততো সবাই সেটা সহজ ভাবে নিতো।
আর যদি এই ম্যাচ জিততাম,তাও বিবেকের কাছে হেরে যেতাম। এ ম্যাচ আর দশটা ম্যাচের মতো ছিলোনা আমাদের জন্য, এটা ছিলো ইতিহাস গড়ার সমান। এরপরও অবশ্যই আশা দেখি বা দেখবো ইন শা আল্লাহ। হয়তো কোন একদিন ……..
অভিনন্দন আফগানদের।কি দারুন তাদের শারীরিক ভাষা,শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া এবং শেষে তাদের সেলিব্রেশন। নিশ্চয়ই কাবুল এখন কাঁপছে।'