বিশ্বকাপে উগান্ডার ঐতিহাসিক প্রথম জয়
বিশ্বকাপে উগান্ডার ঐতিহাসিক প্রথম জয়
বিশ্বকাপে উগান্ডার ঐতিহাসিক প্রথম জয়
প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসা উগান্ডা নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে। পাপুয়া নিউগিনিকে ৩ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে উগান্ডার ইতিহাস। ৭৭ রানের টার্গেট। ৭ উইকেট খুইয়ে ১০ বল আগে টপকায় আফ্রিকান দেশটি। সেই ম্যাচে রেকর্ড গড়া বোলিং ফিগারের দেখা পেয়েছেন ফ্র্যাঙ্ক সুবুগা। তবে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার হাতে পান ৩৩ রানের ইনিংস খেলা রিয়াজাত আলি শাহ। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চড়েই উগান্ডা লিখে ইতিহাস।
বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই উগান্ডার ঐতিহাসিক জয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হারের পর আজ উগান্ডা ৩ উইকেটে হারিয়েছে পাপুয়া নিউগিনিকে। গায়ানায় পাপুয়া নিউগিনির দেওয়া ৭৮ রানের লক্ষ্য উগান্ডা টপকে গেছে ১০ বল হাতে রেখে। বোলারদের দাপটের পর ব্যাটিংয়ে উগান্ডাও ছিল অস্বস্তিতে। তবে রিয়াজাত আলি শাহর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সহজ হয়ে যায় জয়ের পথ। লেখা হয়েছে আরও এক রেকর্ড, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে উগান্ডার প্রথম জয়।
টসে জিতে পাপুয়া নিউগিনিকে আগে ব্যাট করতে পাঠায় উগান্ডা। রানের খাতা খোলার আগেই অধিনায়ক আসাদ ভালা নিয়েছেন বিদায়। স্পিনার আলপেশ রামজানির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন, রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি পিএনজির অধিনায়ক। আরেক ওপেনার টনি উরা ৬ বল খেলে করেছেন ১। তিনে নামা সেসে বাউ অবশ্য করেছেন ৫ রান।
লেগা সিয়াকা ব্যক্তিগত ১২'তে রানআউটে হারিয়েছেন স্টাম্প। দলীয় ৩৬ রানে ৪, এরপর ৪৮ এ পাঁচ, ৫১ রানের মাথায় পাপুয়া নিউগিনি হারায় তাদের ৬ষ্ঠ উইকেট। উগান্ডার ফ্র্যাঙ্ক সুবুগার এরপর গড়েছেন এক বিশ্বকাপ রেকর্ড, মনে করালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কীর্তি। ৪৪ ছুঁইছুঁই ফ্র্যাঙ্ক সুবুগা ৪ ওভার বল করে ২ টিতেই মেডেন দিয়েছেন। ৪ রান খরচ করে নিয়েছেন ২ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৪ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম রান হজম করা বোলার এখন তিনিই।
উগান্ডার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আলপেশ রামজানি, কসমাস কিয়েউতা ও জুমা মিয়াজি। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষের আগেই ৭৭ রানে তাদের গুটিয়ে যাওয়া। কেবল ৩ জং ছুঁয়েছেন দুই অংকের রান। সর্বোচ্চ ১৫ রানের ইনিংস আসে হিরি হিরির ব্যাট থেকে।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মাত্র ২৬ রান করতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল উগান্ডা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন রিয়াজাত আলি শাহ। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে দলের আস্থা হয়ে ওঠেন। ৫৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটসম্যান। তবে দল যখন জয় উৎসবের থেকে মাত্র ৩ রান দূরে, তখন উইকেট হারান রিয়াজাত। ম্যাচ জিতিয়ে আসতে না পারলেও ম্যাচ সেরার পুরষ্কার ওঠছে তার হাতেই।
শেষপর্যন্ত ১০ বল বাকি থাকতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে উগান্ডা। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা।