'আমরা আমাদের কাঁধে পুরো দেশের আশা বহন করে বিশ্বকাপে এসেছি'
'আমরা আমাদের কাঁধে পুরো দেশের আশা বহন করে বিশ্বকাপে এসেছি'
'আমরা আমাদের কাঁধে পুরো দেশের আশা বহন করে বিশ্বকাপে এসেছি'
বিশ্বকাপের বিশ্বমঞ্চে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারার অনুভূতি অবর্ণনীয়। প্রথমবারের মতো এই স্বাদ পেতে চলেছে উগান্ডা। আফ্রিকান কোয়ালিফায়ারে তারা টেস্ট খেলুড়ে দেশ জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এসেছে বিশ্বমঞ্চে। অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশটার নয়া পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেট। সব আবেগ বোঝেন উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। বলেছেন, 'দেশের প্রত্যেকটি মানুষের আশা আমরা কাঁধে বয়ে বেড়াচ্ছি।'
আগামীকাল তারা তাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম ম্যাচ খেলতে মুখোমুখি হবে এশিয়ার ক্রিকেটের উদীয়মান শক্তি আফগানিস্তানের বিপক্ষে। গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ছয়টায়।
পাপুয়া নিউ গিনি বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ থেকেও আত্মবিশ্বাস নিতে চায় উগান্ডা। দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ খেলতে আসা পিএনজি যেভাবে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ভুগিয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিতে চাম উগান্ডার ক্যাপ্টেন। ম্যাচটা তারা পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি বলেন,
'এখানকার কন্ডিশনের সাথে আমরা খুব বেশি পরিচিত নই। তাই গতকালের ম্যাচ থেকে যতটা সম্ভব তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করেছি। পিএনজি যেভাবে খেলেছে এটা আমাদের জন্য ভালো সংকেত। এটা বলে দেয় যে, দলগুলোর মধ্যে ব্যবধান এতটাও বেশি না।'
ব্রায়ান মাসাবা বিশ্বাস করেন, যদি তাদের বেশি বেশি খেলার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তারা ক্রিকেট বিশ্বের সেরা দলগুলোর সাথে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারবে।
নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে অনেক বড় সুযোগ এই ম্যাচ, জানা আছে উগান্ডার ক্যাপ্টেনের। তাই বলেন, 'আমাদের জন্য বিশাল ম্যাচ এটি। আমরা খুবই উত্তেজিত ম্যাচটি নিয়ে। চাপ অবশ্যই থাকবে তবে আমরা আমাদের লক্ষ্যে অটুট।'
দেশের প্রত্যেক নাগরিক, ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে উগান্ডার সরকার পর্যন্ত এই দলটাকে নিয়ে খুবই খুশি। তাদের প্রত্যেকের আশা-আকাঙ্ক্ষা এই দলটাকে ঘিরে। তাই এটা এখন শুধু আর একটা সাধারণ ক্রিকেট ম্যাচ নয়, উগান্ডার জন্য এটা বিশাল কিছু। ক্যাপ্টেন মাসাবা জানিয়েছেন, 'এটা এখন আর শুধু মাঠের খেলা নয়, আমাদের দেশের সবার আশা-আকাঙ্ক্ষা এখন আমাদের কাঁধে।'