লড়াই করেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারল না যুক্তরাষ্ট্র
লড়াই করেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারল না যুক্তরাষ্ট্র
লড়াই করেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারল না যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণ আফ্রিকা অ্যান্টিগায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ১৮ রানের জয়ের মাধ্যমে তাদের সুপার এইটের রোস্টার শুরু করেছে। এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি তাদের পঞ্চম জয়। টানা জয়ে এবারের বিশ্বকাপে রীতিমতো যেন উড়ছে প্রোটিয়ারা।
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার কুইন্টন ডি ককের হাতে গেলেও বল হাতে দুর্দান্ত ও বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন কাগিসো রাবাদা। ইনিংসের ১৯ তম ওভারে এসে রাবাদা খরচ করেন কেবল দুই রান। অ্যান্ড্রিস গাউস অপরাজিত ৮০ রান করেছিলেন তবে শেষ পর্যন্ত তা যথেষ্ট ছিল না।
সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য লড়াই করেছে শেষ ওভার পর্যন্ত। আগের ওভারে ২২ নিলে জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের দরকার ছিল ২৮ রান। ১৯ নম্বর ওভারে অ্যাকশনে এসেই রাবাদার বাজিমাত। প্রথম ডেলিভারিতেই ২২ বলে ৩৮ রানে থাকা হারমীত সিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ। পরের দুই বল ডট দিয়ে শেষ ৩ বলে রান দেন কেবল দুই।
আর তাতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরিভাবে নিজেদের করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানের বেশি করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র, ফলে ১৮ রানের জয় প্রোটিয়াদের। লিগ পর্বে টানা ৪ জয় পাওয়া মার্করামের দল রোমাঞ্চকর জয়ে শুরু করল সুপার এইট পর্ব। তবে ৮০ রানের হার-না-মানা ইনিংস খেলেও ম্লান হয়ে রইলেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটার অ্যান্ড্রিস গাউস। সমান ৫ ছক্কা ও চারে এই অনবদ্য ইনিংস সাজিয়ে যান গাউস।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুরতেই ওপেনার রেজা হেনড্রিক্সকে হারায় প্রোটিয়ারা। তবে মুহূর্তেই পালটে যায় দৃশ্যপট। তিনে নামা অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে নিয়ে কুইন্টন ডি ককের বিধ্বংসী ব্যাটিং। এই জুটিতেই দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোরবোর্ডে পেয়ে যায় ১১০ রান। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে মার্করাম উইকেট হারালে ডেভিড মিলার পান গোল্ডেন ডাকের স্বাদ।
মাত্র ২৬ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ডি কক উইকেট হারান ৪০ বলে ৭৪ করে। শেষদিকে হেনরিখ ক্লাসেনের ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংস আর ট্রিস্টান স্টাবসের ২০ রানের কল্যাণে দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ১৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ।