Image

টানা দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে সিলেট

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 2 সপ্তাহ আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
টানা দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে সিলেট

টানা দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে সিলেট

টানা দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে সিলেট

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগকে ৪ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে সিলেট বিভাগ। জাতীয় ক্রিকেট লিগে তিন ম্যাচের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিবিঘ্নিত ড্র, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে দুই জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে সিলেট। 

বগুড়ায় ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫০ রানের মাথা ২ উইকেট হারায় সিলেট। দলীয় ২০ রানে ফিরে যান ওপেনার তৌফিক খান তুষার (৯), এরপর তিনে নামা মাইশুকুর রহমান রিয়েলও (৯) ফিরেন ৫০ রানে৷ 

রিয়েল যখন সাজঘরে ফিরেন তখন দিনের খেলা বাকী ছিল মাত্র ৩ বল। তাই কোনো ব্যাটার না পাঠিয়ে সিলেট চারে পেসার রেজাউর রাহমান রাজাকে ব্যাটিংয়ে নামায়। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে খেলতে নামা রাজার ব্যাটেই পরে সিলেট জয় পায়। ৫৯ রানের ইনিংস খেলার পথে রাজা তৃতীয় উইকেটে পিনাক ঘোষের সাথে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। চতুর্থ উইকেটে আবার অমিত হাসানকে নিয়ে যোগ করেন আরো ৫০ রান। রাজার এই দুই পঞ্চাশোর্ধ জুটিই ছিল সিলেটের চার উইকেটের জয়ের বড় নিয়ামক। 

১১৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রান করে যখন রাজা প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন সিলেট তখন জয় থেকে ৩৪ রান দূরে। রাজার বিদায়ের পর দ্রুত আরো দুই উইকেট হারায় সিলেট। 

মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে দুর্দান্ত ক্যাচে অভিষিক্ত দিশানকে (০) সাজঘরে ফেরান মো. রিজওয়ান চৌধুরী। দিশানের বিদায়ে ক্রিজে আসা রাহাতুল ফেরদৌস জাভেদও (০) এলবিডব্লিউ হন মুগ্ধর বলে। 

পর পর দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া সিলেটকে জয়ের বন্দরে পৌছান আসাদুল্লাহ আল গালিব। ৪৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন গালিব। জাকির হাসানের অনুপস্থিতি সিলেটের অধিনায়কত্ব পাওয়া অমিত ছিলেন ৩৭ রানে অপরাজিত। 

গালিব-অমিতের অবিচ্ছিন্ন ৩২ রানের জুটিতে ৪ উইকেটে রংপুরকে হারিয়ে লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পায় সিলেট। 

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে রংপুর অলআউট হয় ১৫৮ রানে। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আকবর আলী৷ এছাড়া ৩৩ রান আসে খালিদ হাসানের ব্যাট থেকে। সিলেটের চার পেসার মিলে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট তুলে নেন। আবু জায়েদ রাহি, খালেদ আহমেদ ও রাজা ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া তোফায়েল আহমেদ নেন ১ উইকেট। 

জবাবে সিলেট নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সিলেট গুটিয়ে যায় মাত্র ১৮৯ রানে। ফলে প্রথম ইনিংসে ৩১ রানের বেশি লিড পায়নি সিলেট। অমিত দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন। এছাড়া দুই ওপেনার পিনাক ও তুষার করেন সমান ২৮ রান এবং জাবেদের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। রংপুরের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন রবিউল হক ও আবু হাসিম। এছাড়া একটি করে উইকেট পান আসাদুল্লাহ গালিব, রিজওয়ান ও মুগ্ধ।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তানভীর হায়দার (৭২) ও নবীন ইসলাম (৬৩) ১৪৯ রানের সপ্তম উইকেট জুটিতে রংপুর করে ২২০ রান। সিলেটের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন তোফায়েল ও জাবেদ। 

প্রথম ইনিংসে ৩১ রানে এগিয়ে থাকায় সিলেটের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯০। রাজার ফিফটিতে এই লক্ষ্য সিলেট টপকে যায় ৪ উইকেট হাতে রেখে। বোলিংয়ে ৩ উইকেট ও ৫৯ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংসে ম্যাচসেরার পুরষ্কার পান রাজা।

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three