সাকিব-মুস্তাফিজের সাথে রিশাদকেও যেকারণে কৃতিত্ব দিলেন শান্ত
সাকিব-মুস্তাফিজের সাথে রিশাদকেও যেকারণে কৃতিত্ব দিলেন শান্ত
সাকিব-মুস্তাফিজের সাথে রিশাদকেও যেকারণে কৃতিত্ব দিলেন শান্ত
এমনিতে আইসিসি ইভেন্টে যেমন রান হয়ে থাকে এবারের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। বরং যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে ব্যাটারদের রান তুলতে নাভিশ্বাস উঠছে। সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার ম্যাচেও তেমন এক ট্রিকি উইকেটে খেলা হয়েছে। যেখানে ১০৬ রান করেও নাজমুল হোসেন শান্তর দল বিশ্বাস রেখেছিলেন এটা ডিফেন্ড করতে পারবেন।
দুই ইনিংসের মাঝে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা বিশ্বাস করেছিলেন ১০৬ রান ডিফেন্ড করে জেতা সম্ভব। সেই বিশ্বাসটা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বোলাররা।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, 'আমাদের যখন ১০-১৫ ওভার ব্যাটিং করা হয়ে গিয়েছিল তখনই বুঝেছিলাম উইকেট টা ট্রিকি। তারপর আমরা যে রানটা করেছি (১০৬), প্রত্যেকে বিশ্বাস করেছি যে এই রান ডিফেন্ড করা সম্ভব। সত্যি কথা, জিতে গিয়েছি বলে বলছি না। ব্রেকের সময় যখন সবার কথা হয়েছে তখন সবাই বিশ্বাস করছে এই ম্যাচ এখান থেকে আমরা জিততে পারি। আর এই কাজটা সহজ করে দিয়েছে বোলাররা।'
শুরুতে টানা ৪ ওভার বোলিং করা তানজিম হাসান সাকিব, কিংবা শেষে দুর্দান্ত বোলিং করা মুস্তাফিজুর রহমানকে তো কৃতিত্ব দিয়েছেনই, শান্ত কৃতিত্ব দিলেন দলের ফিল্ডারদেরও।
শান্ত বলেন, 'তানজিম সাকিব খুবই ভালো শুরু করেছে পাওয়ারপ্লেতে। টানা ৪ ওভারই দারুণ বল করেছে। মুস্তাফিজের ১৯ নম্বর ওভার মেডেন উইকেট। বোলিং ইউনিট এক হয়ে যে বোলিং করেছে খুবই দারুণ ব্যাপার। আমি ক্রেডিট দিব ফিল্ডারদের। ফিল্ডাররা যেকয়েকটা বাউন্ডারি সেভ করেছে, বিশেষ করে রিশাদ পয়েন্টে বেশ কয়েকটা ক্যাচ নিয়েছে, বেশ কয়েকটা বাউন্ডারি সেভও দিয়েছে। বোলিং ও ফিল্ডিং দারুণ ছিল এবং সবার মধ্যে বিশ্বাস ছিল ম্যাচটা জিততে পারব।'
ভালো বোলিং করছিলেন বলে তানজিম সাকিবকে দিয়ে শুরুতেই ৪ ওভার করিয়ে নেবার ঝুঁকি নিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলছেন পুজি কম ছিল বলেই এই ঝুঁকি নিতে হয়েছে তাঁকে।
'আমরা যে রান করেছি, এধরণের ঝুঁকি আমাদের নিতেই হত। তাছাড়া আমরা হয়ত এভাবে জিততে পারতাম না। স্কোরবোর্ডে বড় রান ছিল না, তাই আমার আশা ছিল যে বোলারটা বেশি ভালো করছে সে উইকেট এনে দিবে ও ডট বলও করবে।'