সাদমানের ১২০, জিম্বাবুয়েকে ছুঁয়ে ফেলার খুব কাছে বাংলাদেশ

সাদমানের ১২০, জিম্বাবুয়েকে ছুঁয়ে ফেলার খুব কাছে বাংলাদেশ
সাদমানের ১২০, জিম্বাবুয়েকে ছুঁয়ে ফেলার খুব কাছে বাংলাদেশ
লাঞ্চের পরপর এনামুল হক বিজয়ের বিদায়ে ভাঙে ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি। এরপর সাদমান-মুমিনুলের জুটিতে ছুটে চলে বাংলাদেশ। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সাদমান এদিন শুধু দলকেই টানেননি; সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজে পেয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১২০ রানের ইনিংস। তবে সেশনের শেষদিকে সাদমান-মুমিনুল; পরপর দুই ডেলিভারিতে দু'জনকেই হারায় বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম টেস্ট দ্বিতীয় দিনের চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ৫৭ ওভারে বাংলাদেশ রান করেছে ৩ উইকেটে ২০৫। ৯ বলে ২ রানে অপরাজিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৯ বলে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে রান ৯। প্রথম ইনিংসে এখনও জিম্বাবুয়ের চেয়ে ২২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ, হাতে বাকি ৭ উইকেট।
সাদমান-বিজয়ের শতরানের জুটিতে বাংলাদেশ দারুণ শুরু পায় প্রথম ইনিংসে। ৮০ বলে চারটি চারে ৩৯ রান করে বিজয় প্যাভিলিয়নে ফিরলে জিম্বাবুইয়ানরা থামাতে পারেনি সাদমানের ব্যাট। দারুণ ব্যাটিংয়ে সাদমান তুলে নেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তার ক্যারিয়ারের প্রথম শতকও এসেছিল এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে এনামুল হক বিজয়কে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ে সাফল্য পেলেও সেশনের বাকি সময় আধিপত্য দেখায় বাংলাদেশ। তবে চা ব্রেকের যাওয়ার আগের ১০ মিনিটে বাংলাদেশের ছন্দপতন, মুমিনুলের পর সাদমানকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ হন ৩৩ রানে থাকা মুমিনুল। ৬৪ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় সাজান এই ইনিংস। অহেতুক শটে মুমিনুল যেন উইকেট ছুঁড়ে এলেন। এরপর সাদমান ইসলামের উইকেট হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। ব্রায়ান বেনেটের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ১৮১ বলে ১৬ চার ও এক ছক্কায় ১২০ রান করেন সাদমান। যা টেস্ট ক্রিকেটে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
এই সেশনে খেলা হয়েছে ৩১ ওভার, ১০০ রান করতে গিয়ে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৩ উইকেট। ৫৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ২০৫। ক্রিজে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।