সাকিবের লজ্জা পাওয়া উচিত বলছেন শেবাগ, দিলেন অবসরের পরামর্শ
সাকিবের লজ্জা পাওয়া উচিত বলছেন শেবাগ, দিলেন অবসরের পরামর্শ
সাকিবের লজ্জা পাওয়া উচিত বলছেন শেবাগ, দিলেন অবসরের পরামর্শ
সাকিব আল হাসান,দেশের তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। কিন্তু নামের সেই ভার রাখতে পারলেন না নিজের পারফরম্যান্সে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আনরিখ নরকিয়ার বলে পুল করতে গিয়ে ৪ বলে ৩ রান করে ধরা পড়েন। বোলিং ও করেছেন মাত্র ১ ওভার! পারফরম্যান্সে এমন বিবর্ণ সাকিব এই প্রথম নয় বরং লম্বা সময় ধরেই তিনি রয়েছেন অফফর্মে।
সাকিবের এমন মলিন পারফরম্যান্স অফফর্ম নাকি সামর্থ্যহীনতা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারো কারো মতে সময় এসেছে সাকিবের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেবার। সেই কথার পেছনে অবশ্য আছে যুক্তি ও।
দেশসেরা এই অলরাউন্ডার সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি তে ফিফটি পেয়েছিলেন ২০২২ সালে। ২০২১ বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচ খেলে রান করেছিলেন ১৩১। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ ইনিংসে করেছেন মাত্র ৪৪।
ক্রিকবাজের এক অনুষ্ঠানে ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ বলেছন, সাকিবের আরও আগেই অবসর নেওয়া উচিত ছিল। এমনকি বিশ্বকাপের পর সাকিবকে আর খেলানো উচিত নয় বলেও মনে করেন শেবাগ।
তিনি বলেন, 'গত বিশ্বকাপেই আমার এমন মনে হয়েছে, ওকে আর টি-টোয়েন্টিতে খেলানো উচিত নয়। অনেক আগেই ওর অবসর নেওয়ার সময় হয়েছে। তুমি এত সিনিয়র ক্রিকেটার, নিজে অধিনায়ক ছিলে, তোমার পরিসংখ্যানের অবস্থা এমন, সাকিবের নিজেরই তো লজ্জা পাওয়া উচিত। নিজেরই বলা উচিত, আমি এই সংস্করণ থেকে অবসর নিচ্ছি।'
সাকিবের সমালোচনা করতে গিয়ে নিজের উদাহরণ দিয়ে শেবাগ বলেন, 'আমি তো দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বিশ্বকাপ, যেটা শ্রীলঙ্কায় হয়েছিল। তখন যখন ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল, আফগানিস্তানে একটা পেসার ছিল, স্বাচ্ছন্দ্যে আমি যখন ওদের মারতে পারছিলাম না, নির্বাচকদের বলে দিয়েছিলাম, আমাকে যেন টি-টোয়েন্টি দলে রাখা না হয়। আমি ওয়ানডে ও টেস্ট খেলব। দিন শেষে নিজে তো বোঝা যায় আমার ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না, বোলিং ভালো হচ্ছে না, দলের জন্য অবদানই রাখতে পারছি না। তাহলে খেলে কী হবে? আমার হিসেবে তো সাকিবের অবসরের সময় আগেই হয়েছে।'
শেবাগের মতে সাকিবের উচিৎ বিশ্বকাপের পরে আর না খেলা এবং নির্বাচকদের উচিৎ তরুণদের সুযোগ করে দেয়া। তিনি বলেন, 'কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নির্বাচকদের এসেছে। তরুণদের সুযোগ দিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, যদি আপনি ফল না পান, তাহলে তরুণদের সুযোগ দিয়েই ম্যাচ হারুন। অন্তত তাতে ওদের অভিজ্ঞতা তো হবে। এরা তো তা থেকে কিছু শিখবে, সামনে অবদান রাখতে পারবে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে কেন নিয়ে আসা হয়-কারণ, সে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। দলের পরিবেশ ঠিক রাখে, অভিজ্ঞতা দিয়ে রান করবে, উইকেট নেবে, ডট বল দেবে। সাকিব তো এসব কিছুই করতে পারছে না। আমার মনে হয় না এই বিশ্বকাপের পর ওর খেলা উচিত। কিংবা ওকে খেলানো উচিত।'