উইকেট নয়, নিজেদের দুর্বলতা স্বীকার উইন্ডিজ কোচ স্যামির

৯৭ প্রতিবেদক: নাজিফা তাসনিম

প্রকাশ: 14 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
উইকেট নয়, নিজেদের দুর্বলতা স্বীকার উইন্ডিজ কোচ স্যামির

উইকেট নয়, নিজেদের দুর্বলতা স্বীকার উইন্ডিজ কোচ স্যামির

উইকেট নয়, নিজেদের দুর্বলতা স্বীকার উইন্ডিজ কোচ স্যামির

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের কালো টার্নিং উইকেট নিয়ে বারবার সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ড্যারেন স্যামি নিজের দলের ব্যর্থতা অন্য কিছুর উপর চাপাতে চাননি। সিরিজ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে স্যামি স্বীকার করলেন, উইকেট নয়, নিজেদের খেলা যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না।

স্যামি বলেন, “বাংলাদেশে এলে সবারই জানা যে, স্পিনারদের চোখ চকচক করবে, তারা জানে যে সহায়ক কন্ডিশনে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সুযোগ থাকবে। গত তিনটি ম্যাচে আমরা যা দেখিয়েছি, তা ছিল খুবই বাজে, যথেষ্ট ধারাবাহিক নয়। তিন ম্যাচেই আমরা বাংলাদেশকে বাড়তি রান করতে দিয়েছি। এটা ছিল ওভারপ্রতি সাড়ে তিন রানের উইকেট। কিন্তু আমরা প্রতি ম্যাচেই ওদেরকে ওভারপ্রতি চার রান করে করতে দিয়েছি।”

ব্যাট হাতে চাপে পড়ার কথাও মেনে নেন তিনি। “ব্যাট হাতেও যখন চ্যালেঞ্জ এসেছে, আমরা নুইয়ে পড়েছি। সব মিলিয়ে আমরা খুবই হতাশ। বাংলাদেশ সত্যিই ভালো খেলেছে, তাদেরকে কুর্নিশ। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে তাদের স্কিলের জবাব দিতে পারিনি আমরা। জয় তাদেরই প্রাপ্য।”

২০২৩ সালের বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার ২০২৭ সালের আসরে সরাসরি টিকতে চায়। তবে এই সিরিজের হার তাদের পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। স্যামি বলেন, “ব্যাপারটা মানসিকতার। এই সিরিজটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুই দলই জানত উইকেটে কোন ঝুঁকি আছে। আমরা সেই মানসিকতা দেখাতে পারিনি। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের বোঝানো হয়েছিল, এই ম্যাচটা শুধু একটা সিরিজ নয়, এটা আমাদের জন্য একটা পরীক্ষা। কিন্তু ব্যাটাররা সাহস দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশের ব্যাটাররা শুরু থেকেই পজিটিভ ছিল, পাওয়ারপ্লেতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল। আমরা জবাব দিতে দেরি করেছি। বল হাতে ধারাবাহিকতা ছিল না, ব্যাটে প্রতিরোধও ছিল না।”

উইকেটকে অজুহাত বানাতে চাননি স্যামি। তিনি মনে করেন, মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতায়ই লড়াইয়ের মূল পার্থক্য। “হ্যাঁ, উইকেটটা আমাদের কাছে নতুন ছিল। কিন্তু এমন তো নয় যে, এক দল এই উইকেটে খেলল, আরেক দল অন্যটায়। সবাই একই অবস্থায় খেলে। সেখানেই বোঝা যায়, কে মানিয়ে নিতে পারে, কে পারে না। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা সেই মানিয়ে নেওয়ার জায়গায় আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। প্রথম দুই ম্যাচেই তারা বুঝে খেলেছে, কখন গতি বাড়াতে হবে। শেষ ১০ ওভারে যেভাবে তারা স্কোর তুলেছে, সেটাই পার্থক্য তৈরি করেছে। তাদের স্পিনাররা দুর্দান্ত বল করেছে, সবসময় সঠিক জায়গায়। উইকেটটা ওরা বুঝেছে আমাদের চেয়ে অনেক ভালোভাবে।”

ব্যর্থতা নিজেকেই স্বীকার করে স্যামি জানালেন, সফলতা কেবল প্রস্তুতি, মানিয়ে নেওয়া এবং ধারাবাহিকতার ওপরই নির্ভর করে।