জয়ের বৃত্ত ভাঙল রাজস্থানের, রাশিদের বাউন্ডারিতে গুজরাটের জয়
জয়ের বৃত্ত ভাঙল রাজস্থানের, রাশিদের বাউন্ডারিতে গুজরাটের জয়
জয়ের বৃত্ত ভাঙল রাজস্থানের, রাশিদের বাউন্ডারিতে গুজরাটের জয়
রাজস্থান রয়্যালসের জয়ের বৃত্ত অবশেষে ভেঙে গেল। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৩ উইকেটের হারের স্বাদ পেয়েছে দলটি। এদিকে রাজস্থানের দেওয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা পেরোতে গিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু জারি রেখেছিল গুজরাট। আর সেই চেষ্টা শেষপর্যন্ত গিয়ে সফল হয়েছে রাশিদ খানের ব্যাটে। শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচের শেষ বলটিতে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন আফগান তারকা।
প্রতিপক্ষের মাঠে লক্ষ্যমাত্রা ১৯৭, চাপ কিছুটা থাকার কথা ছিল। শুরুটা অবশ্য চাপমুক্ত ব্যাটিং করেছে গুজরাট৷ অধিনায়ক শুবমান গিল ও সাই সুদর্শনের ব্যাটিং প্রদর্শনীতে তেমন ছাপ ছিল। দলীয় ৬৪ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে কুলদীপ সেনের শিকার হয়ে ফেরেন সুদর্শন।
তিন ও চারে নামে ম্যাথু ওয়েড ও অভিনব মনোহর ফিরেছেন এক ডিজিটে। বিজয় শংকরের সাথে দলীয় ১০০ পাড়ি দিয়েছেন গিল। বিজয়ের ইনিংসও আটকে যায় ১৬ রানে। কিছুক্ষণ বাদে ফিরেছেন গিলও। তখন দলীয় রান ১৩৩, ৫ উইকেট হারিয়ে। চলছিল ১৬তম ওভারের খেলা।
রাহুল তেওয়াটিয়া ও শাহরুখ খান দলের প্রয়োজন বুঝে খেলতে থাকেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৪ রান করে বিদায় নেন শাহরুখ৷ রাশিদ খান ও তেওয়াটিয়ার এবার ম্যাচ শেষ করার দায়িত্ব। এদিকে স্লো ওভার রেটের শঙ্কায় ছিল গুজরাট।
সেই শঙ্কা সত্যি করে শেষ ওভারে পেনাল্টি পায় দলটি। বৃত্তের বাইরে ৪ জনের বেশি ফিল্ডার রাখার সুযোগ হয় না। এভাবে ওভার শুরু করেন আভেশ খান, গুজরাটের জিততে প্রয়োজন ছিল ১৫ টি রান। রাশিদের ব্যাটে আসে ৩ টি বাউন্ডারি। বৃত্তের বাইরে কম ফিল্ডারের ফায়দা তোলেন এই আফগান। ওভারের পঞ্চম বলে রানআউট হয়েছেন তেওয়াটিয়া।
তবে শেষ বলে প্রয়োজনের ২ রান বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মিটিয়েছেন রাশিদ। ইনিংস শেষে অপরাজিত ছিলেন ১১ বলে ২৪ রান করে। তেওয়াটিয়া খেলেছেন ১১ বলে ২২ রানের ইনিংস।
রাজস্থানের পক্ষে বল হাতে কুলদীপ সেন একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এর আগে রাজস্থানের ঘরের মাঠ জয়পুরে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইয়াশাসভি জাইসাওয়াল আজ ভালো আশা দেখিয়েছেন। তবে ১৯ বলে ২৪ রানের ইনিংসে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলে ফিরে গেছেন।
হাসেনি জস বাটলারের ব্যাট। আর এদিকে আবারও রিয়ান পরাগ নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। সানজু স্যামসন ও রিয়ান পরাগ মিলে দলের হাল ধরেছেন পুরো অংশ জুড়ে। পরাগের ব্যাটে আসে ৪৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ৩ টি চার এবং ৫ টি ছক্কার মার।
স্যামসন শেষপর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন। পরে যোগ দেওয়া শিমরন হেটমায়ার অধিনায়কের সাথে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। ৩৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে ৭ টি বাউন্ডারি খেলেছেন স্যামসন, ছয় এসেছে ২ টি। হেটমায়ার অপরাজিত ছিলেন ৫ বলে ১৩ রানে।