লক্ষ্যের নিকটে গিয়েও ২ রানে পরাজিত পাঞ্জাব
লক্ষ্যের নিকটে গিয়েও ২ রানে পরাজিত পাঞ্জাব
লক্ষ্যের নিকটে গিয়েও ২ রানে পরাজিত পাঞ্জাব
পরপর দুই ম্যাচে জয় নিশ্চিত করল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। পাঞ্জাবের ঘরের মাঠ মুল্লানপুরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে হায়দ্রাবাদ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করার সামর্থ্য দেখায় পাঞ্জাব কিংস। পরাজিত হতে হয়েছে ২ রানের ব্যবধানে৷
লক্ষ্যমাত্রা ১৮৩ রানে খেলতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো করেনি পাঞ্জাব। দলীয় ২০ রানে হারিয়েছে প্রথম ৩ উইকেট। শিখর ধাওয়ানের ব্যাটে আসে ১৪ রান। জনি বেয়ারস্টো ও প্রবশিমরান সিং ফিরেছেন এক ডিজিটের রানে।
বেকায়দা পাঞ্জাবের হয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন স্যাম কারান ও সিকান্দার রাজা। দলীয় ৫৮ রানে ২৯ রান করে কারান ফিরেছেন। পাশাপাশি দলের রান যখন ৯১, ফিরেছেন রাজা, ২৮ রান করে।
চলছিল ১৪ ওভারের খেলা। বাকি ৬ ওভারে পাঞ্জাবের জেতার জন্য যে রান প্রয়োজন, তা অর্জনে কিছুটা শঙ্কা তো ছিল। শশাঙ্ক সিং ও জিতেশ শর্মা কিছুটা রান বাড়িয়ে খেলতে থাকেন। যদিও ১১ বলে ১৯ করে ফিরতে হয় জিতেশকে।
তবে শশাঙ্ক মাঠে থাকেন, সাথে যোগ দেন আশুতোষ শর্মা। এই দুই ব্যাটার মিলে পাঞ্জাবের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করেছেন। স্ট্রাইক রেট বাড়িয়ে খেলেছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত রক্ষা হয়নি। শেষ ওভারে জিততে প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। জয়দেব উনাদকাটের সেই ওভারে ৩ ছক্কায় ২৭ রান এলেও, ২ রান কম থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় পাঞ্জাবকে।
শশাঙ্ক ২৫ বলে ৪৬ রানে এবং আশুতোষ ১৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে হায়দ্রাবাদ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আর্শদ্বীপ সিং এসে তুলে নেন ট্রাভিস হেড ও এইডেন মার্করামের উইকেট। চাপে পড়া দলটি দলীয় ৩৯ রানে হারায় অভিষেক শর্মার উইকেট।
চারে নামা নিতিশ কুমার রেডি দলের পক্ষে হাল ধরার চেষ্টারত থেকে খেলতে থাকেন। ১৩তম ওভারে গিয়ে দলীয় শতক পূরণ করে হায়দ্রাবাদ। এরমধ্যে নিতিশের ব্যাটে আসে অর্ধশতক। সঙ্গীর অভাবে অবশ্য ভুগছিলেন এই ব্যাটার।
হেনরিখ ক্লাসেন এসেও ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। আব্দুল সামাদের ব্যাটে আসা ১২ বলে ২৫ রানে কিছুটা এগিয়েছে হায়দ্রাবাদ। তবে এই সময় আবারও আসেই সেই আর্শদ্বীপ। ১৭তম ওভারে সামাদ ও নিতিশকে ফিরিয়ে দেন।
নিতিশের ব্যাটে আসে ৩৭ বলে ৬৪ টি রান।
পরবর্তীতে শাহবাজ আহমেদের ৭ বলে ১৪ রানের ইনিংস ও কিছু কিছু প্রচেষ্টায় হায়দ্রাবাদের রান গিয়ে থামে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮২ তে।
আর্শদ্বীপ সিং পাঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট সংগ্রহ করেন।