সেঞ্চুরি মিসের চেয়েও মিরাজ বেশি হতাশ টপ অর্ডার নিয়ে
- 1
অ্যান্টিগায় প্রথম দিনে বাংলাদেশি বোলারদের শিকার ৫ উইকেট
- 2
ঢাকা লিগে ৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নি'ষিদ্ধ করল বিসিবি
- 3
টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি করে তিলক বার্মার বিশ্বরেকর্ড
- 4
শুরুর ১৫ মিনিটেই হাসান মাহমুদের দুই উইকেট, এরপর বিবর্ণ বাংলাদেশ
- 5
জমকালো আয়োজনে উন্মোচিত হল এনসিএল টি-টোয়েন্টির লোগো, দেখা যাবে সরাসরি
সেঞ্চুরি মিসের চেয়েও মিরাজ বেশি হতাশ টপ অর্ডার নিয়ে
সেঞ্চুরি মিসের চেয়েও মিরাজ বেশি হতাশ টপ অর্ডার নিয়ে
৮৭ রানে অপরাজিত থেকে আজ সকালে খেলা শুরু করা মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন সেঞ্চুরির অপেক্ষায়। তবে তার এই অপেক্ষাকে আক্ষেপ বানিয়ে দিলেন কাগিসো রাবাদা। শেষ ব্যাটার হিসেবে মিরাজ ব্যক্তিগত ৯৭ রানে আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৩০৭ রানে। ফলে প্রোটিয়াদের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় কেবল ১০৬ রানের। নিজের সেঞ্চুরি মিসের চেয়েও দলের লিড বড় করতে না পারার হতাশা মিরাজের কণ্ঠে।
মিরপুর টেস্টের ফল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসেই নির্ধারণ হয়ে যায়। টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে শান্ত-লিটনরা গুটিয়ে যায় ১০৬ রানে। শেষ অবদি বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে ৭ উইকেটে। খুব কাছে গিয়েও সেঞ্চুরি পেলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে সেঞ্চুরি করার চেয়ে নিজের প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারেননি বলে হতাশ হয়েছেন মিরাজ।
সংবাদ সম্মেলনে মিরাজের কণ্ঠে ঝরছে আক্ষেপ, 'একটা ব্যাটারের জন্য সেঞ্চুরি মিস হলে অবশ্যই খারাপ লাগবে। অবশ্যই খারাপ লাগছে। সেঞ্চুরির চেয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আরও ভালো লাগত। সেঞ্চুরি নিয়ে চিন্তা করিনি, চিন্তা করেছিলাম দলকে কোথায় নিয়ে যেতে পারি।'
'ডিসিশন মেকিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু জায়গায় ঘাটতি আছে, তাই ব্যাট হাতে বিপর্যয় হচ্ছে। উপরের দিকে একটা পার্টনারশিপ জরুরী। টপ অর্ডার ভালো শুরু এনে দিলে পরের ব্যাটারদের কাজ সহজ হতো। পাকিস্তানে যখন প্রথম টেস্টে টপ অর্ডার থেকে, ৩-৪ নম্বর থেকে ভালো শুরু দিয়েছিল, ওপেনাররাও ভালো করেছিল। এতে পরের বেতারদের কাজ সহজ হয়ে যায়। নতুন বল যদি ৫-৬ নম্বর ব্যাটারকে খেলতে হয় তাহলে তো কঠিন। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি কীভাবে টপ অর্ডাররা সফল হতে পারে, বেশিরভাগ টেস্টেই যেন সফল হয় এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।'
দলের ব্যাটিং নিয়েও আক্ষেপের গল্প শোনালেন মিরাজ। কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন টপ অর্ডারকে। তার মতে, নতুন বলে টপ অর্ডারের ব্যাটাররা দায়িত্ব নিলে মিডল অর্ডারের কাজটা সহজ হয়ে যায়, 'এত প্রশ্ন আসছে, ভালো খেললে এত প্রশ্ন আসত না। অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা, স্বীকার করছি। দল হিসেবে খেলতে পারিনি। ১-২ জন ভালো করলে দলীয় ফলাফল আসবে না। যেটা আমরা পাকিস্তানে করেছিলাম। খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি পাকিস্তানে। অনেক উন্নতির জায়গা আছে। ব্যাটারদের দায়িত্ব নিতে হবে। টেস্টে বোর্ডে রান না থাকলে বোলারদের জন্য কঠিন। বোলাররা খুবই ভালো করেছে, প্রেশার নিয়ে যেভাবে বল করে অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে। তাইজুল ভাই খুব ভালো বোলিং করেছে। প্রত্যেক ব্যাটার রান করবে না। তবে ৩-৪ জন ব্যাটার যেন রান করে। বড় স্কোর হয়। তাহলে দলীয় পুঁজি বড় হয়। আশা করি সামনে কামব্যাক করতে পারব।'