দেশের মানুষের মুখে হাসি এনে দিয়ে খুশি শান্ত
- 1
অ্যান্টিগায় প্রথম দিনে বাংলাদেশি বোলারদের শিকার ৫ উইকেট
- 2
শুরুর ১৫ মিনিটেই হাসান মাহমুদের দুই উইকেট, এরপর বিবর্ণ বাংলাদেশ
- 3
টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি করে তিলক বার্মার বিশ্বরেকর্ড
- 4
জমকালো আয়োজনে উন্মোচিত হল এনসিএল টি-টোয়েন্টির লোগো, দেখা যাবে সরাসরি
- 5
আইপিএল নিলাম ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হলেন রিশাব পান্ট
দেশের মানুষের মুখে হাসি এনে দিয়ে খুশি শান্ত
দেশের মানুষের মুখে হাসি এনে দিয়ে খুশি শান্ত
টেস্ট ক্রিকেটে নতুন দিনের সূচনা হয়েছে বাংলাদেশের। পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের সেরা অর্জন। এই অর্জনে আনন্দে উচ্ছ্বসিত সাথে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন ক্রিকেটারদের থেকে শুরু করে দেশবাসী প্রত্যেকেই।
সাকিব আল হাসানের বাউন্ডারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে কাঙ্ক্ষিত জয় পেয়ে যায় বাংলাদেশ। সেসময়ে কতটা ইমোশন ছিলো এমন প্রশ্নের উত্তরে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন,
"ইমোশানটা আসলে মুখে বলা মুশকিল। এ ধরনের অর্জন আমার কাছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা মুহূর্ত আমার কাছে মনে হয়। মুশফিক ভাই সাকিব ভাই যখন ব্যাট করছিল আমরা চাচ্ছিলাম এই দুজনই খেলাটা শেষ করুক। এত বছর ধরে উনারা খেলছেন। কত ম্যাচ জিতিয়েছেন। এরকম ম্যাচ জেতা অনেক স্পেশাল। আমরা সবাই চাচ্ছিলাম এবং সবাই অনেক খুশি।"
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় নিয়ে শান্ত আরো বলেন, "দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। গত দেড় মাসে সবাই অনেক সংগ্রাম করেছে। ক্রিকেট আমাদের দেশে অনেক আবেগের জায়গা। আশা করি এই ম্যাচ, সিরিজ জয় কিছুটা হলেও হাসি এনে দিবে তাদের মুখে। আমরা বেশ খুশি তাদের এই আনন্দ দিতে পেরে।"
আপনাদের পারফরম্যান্স তরুণদের অনুপ্রেরণা। এতবার পিছিয়ে পড়েও কীভাবে জিতলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে শান্ত বলেন, "আসলে বিশ্বাস রাখাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। প্রতিটি প্লেয়ারের বিশ্বাস ছিল আমরা যেকোনো সময় কামব্যাক করতে পারি। মিরাজ আটে ব্যাট করে। ফলে এখানে ব্যাটিংয়ে গভীরতা ছিল আমাদের। ফলে আমাদের বিশ্বাস ছিল সেট হলে এখানে বড় রান করা সম্ভব। প্রতিটি প্লেয়ার বিশ্বাস করেছে আমরা যেকোনো সময় কামব্যাক করতে পারি।"
বাংলাদেশের অন্তবর্তীনকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ফোন কল করে অভিনন্দন জানিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। সেই সম্পর্কে তিনি বলেন, "হ্যাঁ আমাদের ড. ইউনুস স্যার কল করেছিলেন। অভিনন্দন জানিয়েছেন। ওরা অনেক খুশি। দেশে ফেরার পর দেখা করতে চেয়েছেন পুরা দলের সাথে।"
আন্দোলন, বন্যার মত খারাপ পরিস্থিতির করে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই জয়টায় দেশের মানুষ আনন্দিত হবেন বলে বিশ্বাস অধিনায়কের।
"এই জয়টা দেশের মানুষের জন্য অনেক আনন্দ বয়ে আনবে। গত কিছুদিন ধরে যেভাবে বন্যা বলেন বা আন্দোলন বলেন অনেক মানুষের অনেক খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া লেগেছে। আমরা যেভাবে ম্যাচটা খেললাম সবাই আমার মনে হয় যে একটু হলেও মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। আমরা সবাই জানি ক্রিকেটের জন্য কত পাগল আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ। সবাই ম্যাচ হারলেও আমাদের যেভাবে সাপোর্ট করে। আমাদের চেষ্টা ছিল কীভাবে দেশের মানুষকে কিছু একটা দিতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ আমার মনে হয় আমরা ভালো কিছু করতে পেরেছি।"