'কেউ যদি বলে সেমিফাইনাল; আমি বলব না, ফাইনাল'
'কেউ যদি বলে সেমিফাইনাল; আমি বলব না, ফাইনাল'
'কেউ যদি বলে সেমিফাইনাল; আমি বলব না, ফাইনাল'
২০১৫ সালের সৌম্য সরকার আর বর্তমান সময়ের সৌম্যর মধ্যে পার্থক্য পরিষ্কার, বিভীষিকাময়। তবে টাইগারদের এই তারকা অলরাউন্ডার অভিষেক সময়ের রোমাঞ্চ নিয়েই ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গেলেন। ব্যাটে রান না থাকলেও সৌম্যর আছে বড় আশা। অতিমানবীয় কিছু করবেন বলেই হয়তো সৌম্য হাসিমুখে জানিয়ে গেলেন, 'সবসময় বড় স্বপ্ন দেখি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখি।' শিরাপো জিতেই বিশ্বকাপ স্মরণীয় করে রাখতে চান সৌম্য।
সৌম্য সরকারের উত্থানটা যেন রূপকথার গল্পের মত। বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কিছু হতে পারেন, তা সৌম্য বারবার ফিরে এসে প্রমাণ করেছেন। ব্যাটিংয়ের সাথে বল হাতেও কতটা প্রভাব রাখতে পারেন, কারোই অজানা নয়। এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ ঘিরেও তাই সৌম্য সরকারের আছে সেই আগের নেশা কিংবা স্বপ্নপূরণের ইচ্ছা,
'খেলোয়াড় হিসেবে যেকোন বিশ্বকাপে খেলাই একটা গর্বের বিষয়, ২০১৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলাম এবারও সেরকম রোমাঞ্চ কাজ করবে। চেষ্টা করব ২০২৪ সালে আমার জন্য স্মরণীয় করতে পারি এবং পাশাপাশি দলকেও ভালো কিছু উপহার দিতে পারি।'
সৌম্য বড় গলায় বলেছেন, কেউ যদি বলে সেমিফাইনাল; আমি বলব না। ফাইনাল খেলতে যাব, 'সবসময় বড় স্বপ্ন দেখি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখি। ব্যক্তিগতভাবে আমি বড় স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি। কেউ সেমিফাইনাল বললে আমি বলব ফাইনাল খেলতে যাব। তারপরে রেজাল্টের কথা আসবে। মাঠে ভালো খারাপের উপর ফলাফল আসবে। খেলায় উত্থান-পতন, ভালো-খারাপ, হার-জিত থাকবে। আমরা আমাদের দিক থেকে চাইব নিজেদের সেরাটা দেওয়ার।'
গতবছর নেলসনে বাংলাদেশের ২৯১ রানের সংগ্রহে সৌম্যর ব্যাটে এসেছে ১৬৯ রান। বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকার হাথুরুসিংহের প্রিয় ছাত্র হিসেবে এই বাঁহাতি বারবার পেয়ে যান সুযোগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে সৌম্যর পূর্ব অভিজ্ঞতাও নেই। অফ-ফর্মের এই সময়ে সৌম্য তাই সমস্যার সমাধানটা নতুনভাবে নিজেই করতে চান,
'একজন ব্যাটসম্যানের রান করাটা গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে রান করুক, তবে রানে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। রান না করলে কনফিডেন্স হয় না, রান করলে সেটা মানসিকভাবে সাপোর্ট দেয়। আমাদের আমেরিকায় খেলার অভিজ্ঞতা নেই, মাঠ সম্পর্কেও ধারণা নেই। তাই যত দ্রুত মানিয়ে নিতে পারব আমাদের জন্য ভালো হবে।'