মাঠের বাইরে কিংবা ভেতরে, স্তব্ধ আর নীরবতা
মাঠের বাইরে কিংবা ভেতরে, স্তব্ধ আর নীরবতা
মাঠের বাইরে কিংবা ভেতরে, স্তব্ধ আর নীরবতা
কড়া নিরাপত্তা, সুনসান নীরবতা, স্তব্ধ পুরো মিরপুর হোম অব ক্রিকেট। স্টেডিয়ামের বাইরের সড়কের মতোই যেন মাঠের ভেতরকার চিত্র। টসে হেরে আগে বোলিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সকাল-সকাল পায় দারুণ শুরু। বিপরীতে, বাংলাদেশের উইকেট পতনের মিছিল শুরু। প্রায় দর্শকশূন্য গ্যালারি যেন আরও চুপসে যায় প্রথম ৬ ওভারের আগেই ৩ ব্যাটারের বিদায় দেখে। এরপর মুশফিকের বিদায়ে বাড়ল চাপ।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল উপমহাদেশে খেলা তাদের সবশেষ ১৩ টেস্টের একটিও জিততে পারেনি, তবে বাংলাদেশও টেস্ট ক্রিকেটে প্রোটিয়াদের কখনো হারাতে পারেনি। তবে এবার হোমে খেলা বলে অনেকটা আত্মবিশ্বাসী ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই গল্পের পুরোটাই বদলে যায় সকাল শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অহেতুক শট খেলতে গিয়ে সেকেন্ড স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ হন সাদমান ইসলাম। অযচ আগের ইনিংসেই ভারতের বিপক্ষে ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন এই ওপেনার। ওইয়ান মুল্ডার এদিন সাদমানকে দেন ডাকের স্বাদ। তিনে নামা মুমিনুল হক ৪ রান করতেই নিয়েছেন বিদায়। এবারও বোলার মুল্ডার, ক্যাচ অবশ্য গ্লাভসে লুফে নেন কাইল ভেরেইনে।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলকে স্বস্তি দেওয়ার বদলে আরও বিপাকে ফেলছেন চরমভাবে। এক মুল্ডারের তৃতীয় আঘাত, ৭ বল খেলা বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন রান করেছেন সমান ৭। শান্তর বিদায়ের ধরনটা তাকেও করেছিল অবাক। গতকালই সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলে যান, 'কোন শট খেলতে হবে আপনাদের চেয়ে বেশি জানি'। এই তাহলে শট সিলেকশন নিয়ে শান্তর সেই বেশি জানা-শোনা।
টিকলেন না সবচেয়ে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও। মুল্ডারের টানা ৩ উইকেট শিকারের পর অবশেষে উইকেট পেলেন কাগিসো রাবাদা। মুশফিকের স্টাম্প উপড়ে দিয়ে রাবাদা ছুঁয়েছেন টেস্টে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক।