টানা ছয় ম্যাচ হারের পর বেঙ্গালুরুর দ্বিতীয় জয়
টানা ছয় ম্যাচ হারের পর বেঙ্গালুরুর দ্বিতীয় জয়
টানা ছয় ম্যাচ হারের পর বেঙ্গালুরুর দ্বিতীয় জয়
জয় যেন অপরিচিত হয়ে উঠছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জন্য। সেই অধরা জয় অবশেষে মিলল। বৃহস্পতিবারের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ৩৫ রানের জয় পেয়েছে ভিরাট কোহলিরা। হায়দ্রাবাদের মাটিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরু। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান পর্যন্ত তুলতে পারে হায়দ্রাবাদ।
দুইশো পেরোনো লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে শুরুটা মোটেও ভালো করেনি হায়দ্রাবাদ। মারকুটে অভিধা মেলার কারণে, দুইশো রানও যেন দলটির কাছে তেমন কিছু হয়। তবে এদিন সংগ্রাম করতে হয়েছে কোহলিদের বিপক্ষে।
হায়দ্রাবাদের বোলাররা বেশ চাপেই রেখেছিলেন প্রতিপক্ষকে। যার ফলাফল দেখা যায় স্কোরবোর্ডে। পাঁচ ওভার খেলে, দলীয় ৫৬ রান তুলে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। যেখানে অভিষেক শর্মার ১৩ বলে ৩১ রানের ইনিংস ছিল কার্যকর।
পরবর্তীতে শাহবাজ আহমেদের অপরাজিত ৪০ (৩৭) রান, প্যাট কামিন্সের ৩১ (১৫) রানে বড় পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি সুবিধা হয়নি। কেবল কমিয়েছে ব্যবধান।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বোলারদের পক্ষে স্বপ্নীল সিং, কার্ন শর্মা, ক্যামেরন গ্রিন প্রত্যেকে ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে বেঙ্গালুরুর ইনিংসে আসে দুইটি ফিফটি। যার একটি ভিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। কোহলির ইনিংসে অবশ্য স্ট্রাইক রেটে কিছুটা কমতি ছিল। যখন ফিরেছেন এই ব্যাটার ৪৩ বলে ৫১ রান নামের পাশে।
রজত পাতিদারের ২০ বলে ৫০ রানের ইনিংস বেশ কার্যকরী ছিল বেঙ্গালুরুর জন্য। পাশাপাশি গ্রিনের অপরাজিত ২০ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। শেষদিকে এমন রান বাড়িয়ে, শট ছড়িয়ে খেলার ফলে দলটি দ্বিশতক পেরোতে সক্ষম হয়।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের পক্ষে বল হাতে জয়দেব উনাদকাট সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন।