আইসিসি ওয়ানডে টিম অব দ্য ইয়ার ২০২৪, ভারত-বাংলাদেশের কেউ নেই
আইসিসি ওয়ানডে টিম অব দ্য ইয়ার ২০২৪, ভারত-বাংলাদেশের কেউ নেই
আইসিসি ওয়ানডে টিম অব দ্য ইয়ার ২০২৪, ভারত-বাংলাদেশের কেউ নেই
আইসিসি ২০২৪ সালের বর্ষসেরা ওয়ানডে দল প্রকাশ করেছে। যেখানে নেই বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের কেউই। বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশের অধিনায়ক শ্রীলঙ্কার চারিথ আসালাঙ্কা।
সেরা একাদশে শ্রীলঙ্কার আছেন সর্বোচ্চ ৪ জন। ৩ জন করে আছেন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের। বাকি ১ জন ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
সাইম আইয়ুব (পাকিস্তান)
৯ ম্যাচ, ৫১৫ রান, সর্বোচ্চ স্কোর ১১৩ অপরাজিত, গড় ৬৪.৩৭, স্ট্রাইক রেট ১০৫.৫৩, ৩ সেঞ্চুরি, ১ হাফ-সেঞ্চুরি।
২০২৪ সালে পাকিস্তানের এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান ওয়ানডে ক্রিকেটে একটি দুর্দান্ত ব্রেকআউট মৌসুম কাটিয়েছেন। নভেম্বর মাসে অভিষেক হওয়া সাইম তিন ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১২৫ রান সংগ্রহ করেন এবং এর পরপরই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান। ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে তিনি ৭৮.৩ গড়ে রান করেন এবং দুটি সেঞ্চুরি করেন।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ (আফগানিস্তান)
১১ ম্যাচ, ৫৩১ রান, সর্বোচ্চ স্কোর ১২১, গড় ৪৮.২, স্ট্রাইক রেট ৮৯.৭, ৩ সেঞ্চুরি, ২ হাফ-সেঞ্চুরি।
গুরবাজ তার বিখ্যাত ২০২১ সালের অভিষেক সেঞ্চুরির পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে বিধ্বংসী পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে আসছেন। শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০২৪ সালের সিরিজগুলোতে তিনি অসাধারণ খেলেন।
পাথুম নিসাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা)
১২ ম্যাচ, ৬৯৪ রান, সর্বোচ্চ স্কোর ২১০ অপরাজিত, গড় ৬৩.১, স্ট্রাইক রেট ১০৬.৪, ৩ সেঞ্চুরি, ২ হাফ-সেঞ্চুরি।
নিসাঙ্কার ২১০* রানের ইনিংস ওয়ানডে ইতিহাসে একজন ওপেনারের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ স্কোর। তার সেরা পারফরম্যান্সগুলোর বেশিরভাগই বছরের প্রথমার্ধে ছিল।
কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক, শ্রীলঙ্কা)
১৭ ম্যাচ, ৭৪২ রান, সর্বোচ্চ স্কোর ১৪৩, গড় ৫৩, স্ট্রাইক রেট ৯০.৬, ১ সেঞ্চুরি, ৬ হাফ-সেঞ্চুরি।
মেন্ডিস ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক ছিলেন। নভেম্বর মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার ১৪৩ রানের ইনিংসটি উইকেটরক্ষকদের মধ্যে ২৭তম সর্বোচ্চ স্কোর।
চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক, শ্রীলঙ্কা)
১৬ ম্যাচ, ৬০৫ রান, সর্বোচ্চ স্কোর ১০১, গড় ৫০.২, স্ট্রাইক রেট ৯৭.১, ১ সেঞ্চুরি, ৪ হাফ-সেঞ্চুরি।
আসালাঙ্কা তার অধিনায়কত্ব এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংকে শক্তিশালী করেছেন।
শেরফানে রাদারফোর্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
৯ ম্যাচ, ৪২৫ রান, সর্বোচ্চ স্কোর ১১৩, গড় ১০৬.২, স্ট্রাইক রেট ১২০.১, ১ সেঞ্চুরি, ৪ হাফ-সেঞ্চুরি।
রাদারফোর্ড তার বিস্ফোরক ব্যাটিং দিয়ে মাত্র ৯ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংকে আলোকিত করেছেন।
আজমতউল্লাহ ওমরজাই (আফগানিস্তান)
১২ ম্যাচ, ৪১৭ রান, ১৭ উইকেট, সর্বোচ্চ স্কোর ১৪৯, সেরা বোলিং ৪/১৮।
ওমরজাই ২০২৪ সালে ব্যাট ও বল হাতে আফগানিস্তানের জন্য দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)
১০ ম্যাচ, ২৬ উইকেট, গড় ১৫.৬, সেরা বোলিং ৭/১৯।
জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হাসারাঙ্গার ৭/১৯ রানের ইনিংসটি ইতিহাসের অন্যতম সেরা বোলিং পারফরম্যান্স।
শাহীন শাহ আফ্রিদি (পাকিস্তান)
৬ ম্যাচ, ১৫ উইকেট, গড় ১৭.৬, সেরা বোলিং ৪/৪৭।
শাহীন তার সীমিত ম্যাচ খেলেও ব্যাটারদের কঠিন সময় উপহার দিয়েছেন।
হারিস রউফ (পাকিস্তান)
৮ ম্যাচ, ১৩ উইকেট, গড় ২২.৪, সেরা বোলিং ৫/২৯।
রউফ বছরের শেষ দিকে অসাধারণ ফর্মে ছিলেন, বিশেষত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে।
আল্লাহ গাজানফার (আফগানিস্তান)
১১ ম্যাচ, ২১ উইকেট, গড় ১৩.৫৭, সেরা বোলিং ৬/২৬।
মাত্র ১৮ বছর বয়সী গাজানফার ইতোমধ্যেই আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন এবং তার পারফরম্যান্স তাকে ভবিষ্যতের তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
একনজরে আইসিসি ওয়ানডে টিম অব দ্য ইয়ার ২০২৪:
সাইম আইয়ুব (পাকিস্তান), রহমানউল্লাহ গুরবাজ (আফগানিস্তান), পাথুম নিসাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা), কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক, শ্রীলঙ্কা), চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক, শ্রীলঙ্কা), শেরফানে রাদারফোর্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), আজমতউল্লাহ ওমরজাই (আফগানিস্তান), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা), শাহীন শাহ আফ্রিদি (পাকিস্তান), হারিস রউফ (পাকিস্তান) ও আল্লাহ গাজানফার (আফগানিস্তান)।