Image

সেঞ্চুরি করেও শান্তি নেই বিজয়ের, আফসোসই যেন তার সঙ্গী

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 9 ঘন্টা আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
সেঞ্চুরি করেও শান্তি নেই বিজয়ের, আফসোসই যেন তার সঙ্গী

সেঞ্চুরি করেও শান্তি নেই বিজয়ের, আফসোসই যেন তার সঙ্গী

সেঞ্চুরি করেও শান্তি নেই বিজয়ের, আফসোসই যেন তার সঙ্গী

সবটুকু চেষ্টা করে শতক হাঁকিয়েও দলকে জেতাতে পারলেন না এনামুল হক বিজয়। ৪১১ রানের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে দূর্বার রাজশাহী হেরেছে ৭ রানে। শেষ ওভারে ৬ বলে ১৭ রানের সমীকরণ মেলাতে চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন বিজয়। তাই সেঞ্চুরি করেও সংবাদসম্মেলনে বিমর্ষ মুখে ছিলেন এই ব্যাটার।

নিজের ইনিংস সম্পর্কে বিজয় বলেন, "আসলে আমার ইনিংস নিয়ে বিশেষ করে বলার কিছু নেই। স্কোরবোর্ডে দেখছিলাম ম্যাচটা কতটুকু ক্লোজে নিয়ে যাওয়া যায়। রানরেট কত চলতেসে। ব্যাটিংয়ে ভেবেছি উইকেটে থাকি বল অনুযায়ী খেলতে থাকি। আফিফের একটা ক্যাচ ছিল। ৬-৭ জন আউট হয়ে যেতে পারতাম। তবুও আল্লাহ হয়ত দিয়েছে। তাই এত বড় রান হয়েছে। ম্যাচ জেতাতে পারলে আলাদা শান্তি লাগত। এমন ম্যাচ জেতাতে পারা কিন্তু ব্যাটারের জন্য স্বপ্নের মত ব্যাপার। সবার আশা থাকে ক্যারিয়ারে এমন ৫-৬টা ম্যাচ সে জেতাবে। একা নিজের হাতে। তখন নিজের ইনিংসটা সামারি করতে পারতাম। একটা সংখ্যা ভালো সংখ্যা সুন্দর সংখ্যা। আফসোস থেকে যাবে।"

এদিন মাঠের চারদিকেই মেরে খেলেছেন বিজয়। একাধিক বার করেছেন রিভার্স সুইপ। এর পেছনে পরিশ্রম এবং বেশ কিছু মানুষের অবদানের কথা বলেন এই ব্যাটার, "হ্যাঁ হ্যাঁ আমরা যেসব ইনিংস দেখি এর পেছনে বল বয়, কোচ, থ্রোয়ার, যারা কাছের মানুষ আছে তাদের আসলে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবে না। সেই সকাল থেকে যে অনুশীলন করি এটা ৩৬০ ডিগ্রি বলেন বা আন অর্থোডক্স শট বলেন, এগুলো সুযোগ ব্যাটারের জন্য। আমি যখন কাভার, পুল সোজা খেলতে পারছি, ভাবছি কীভাবে পাওয়ারপ্লে শেষে বাউন্ডারি বের করতে পারি। সেঞ্চুরির জন্য আমার কোচ এবং একটা বন্ধুকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সবসময় আমার পাশে থাকে, আমার অনুপ্রেরণা দেয়। খুব ইতিবাচক থাকে। আমার খুব পছন্দের এবং কাছের মানুষ বিপ্লব ভাই এবং বন্ধু মাসুদ এই দুইজনকে উৎসর্গ করতে চাই।"

দূর্বার রাজশাহীর টপ রান স্কোরার এখন এনামুল হক বিজয়। তবে এসব নিয়ে তেমন চিন্তা নেই তার। বিজয়ের মতে, দলে অবদান রাখা টাই গুরুত্বপূর্ন। উদাহরণ দিকে গিয়ে টানেন নুরুল হাসান সোহানের শেষ ওভারে দলকে জেতানোর ইনিংসটির কথা।

"টপ রান দিয়ে আসলে সবসময় সবকিছু হয় না। দেখেন উদাহরণ দেই, নুরুল হাসান সোহান কিন্তু ১০০ রানও করে নাই। কিন্তু ওর যে অবদান এটা কিন্তু ম্যাসিভ। সঠিক সময়ে কীভাবে দলে অবদান রাখলাম, ৫ বলে ১০ রানও ম্যাটার করে। দলের জন্য কাজে দেয়। এখন বড় হচ্ছি শিখছি দেখছি কীভাবে দলকে জেতানো যায় এগুলো অভিজ্ঞতার সাথে সাথে কাজে আসে। ছোট ছোট ইনিংসগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। দলও চেষ্টা করছে। আজকে সফল হইনি। এটাই জীবন"

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three