তামিমকে রান আউট করলেও বরিশালকে জিতিয়ে আসেন মালান
তামিমকে রান আউট করলেও বরিশালকে জিতিয়ে আসেন মালান
তামিমকে রান আউট করলেও বরিশালকে জিতিয়ে আসেন মালান
ঘরের মাঠের দল চিটাগং কিংসের টানা দুই হার। তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল সাগরিকায় তুলে নিল ব্যাক টু ব্যাক জয়। আজ চিটাগংকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের দুই নম্বর অবস্থান আরও শক্ত করল বরিশাল। তামিম ইকবাল শুরুতে রান আউট হলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ডেভিড মালান। ৪১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় মালান সাজান তার ৫৬ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস।
নবী-মালানের খেলা ৪৭ বলে ৬৯ রানের হার-না-মানা পার্টনারশিপে বরিশালের স্বস্তির জয়। এখন পর্যন্ত বিপিএলে ৭ ম্যাচ খেলা ফরচুন বরিশাল ৫ জয় নিয়ে আছে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে। আগের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকা মালান আজ অবশ্য পেয়েছেন ফিফটি। ৫৬ রানের ইনিংসে জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।
তামিম ইকবালের দলের টানা দুই জয়ের স্বাদ পাবার দিনে চিটাগং কিংসের একের পর এক পরাজয়। টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান উঠতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে ঘরের দলটি। তবে শেষপর্যন্ত চিটাগং একশো পেরিয়ে ১২১ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায়।
আউট হওয়া ৮ ব্যাটারের মধ্যে কেবল দুই জন পৌঁছাতে পারেন দুই অংকের রানে। ওপেনার উসমান খানের ১৯ রানের পর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ৩৪ বলে করতে পারেন ৩৫ রান। শেষ দিকে ২৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন আরাফাত সানি। ৩৪ বল খেলা আরাফাত বাউন্ডারি হাঁকান কেবল দুইটি।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে পাওয়ার প্লেতে অবশ্য ধুঁকতে থাকে ফরচুন বরিশালও। ২ উইকেট হারিয়ে রান করতে পারে কেবল ২৮। দুর্ভাগজনকভাবে রান আউটের শিকার হন তামিম ইকবাল। ১৪ বলে ৮ রানে থাকা তামিম বেশ হতাশ হয়ে ফেরত যান প্যাভিলিয়নে। তিনে নামা তাওহীদ হৃদয় ১ রানের বেশি করতে পারেননি।
ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন বরিশালের দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ১০ বলে ১১ রান করে আরাফাত সানির বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন মুশফিক। ১৬ রান করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান চিটাগংয়ের পেসার খালেদ আহমেদ।
দলীয় ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বরিশালকে এরপর পথ দেখান টিকে থাকা ওপেনার ডেভিড মালান। যোগ্য সঙ্গী হিসেবে পান মোহাম্মদ নবীকে। এর মাঝে ৩৬ বলে পঞ্চাশ রান পূর্ণ করে দলকে সহজ জয়ের পথে নিয়ে যান মালান। বিপিএল ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ ফিফটির দেখা পাওয়া মালান শেষ অবদি অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে। ২১ বল খেলা মোহাম্মদ নবী ২৬ রানের ইনিংসে দলকে ১৯ বল আগেই জিতিয়ে দেন ৬ উইকেটে।