মিরপুরের কালো আভা পেরিয়ে চট্টগ্রামে লিটনের রঙিন প্রত্যাশা
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ: 3 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে-
1
ইন্দোরে অস্ট্রেলিয়ান দুই নারী ক্রিকেটারকে হয়রানি, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত
-
2
ওয়ানডেতে সাঙ্গাকারাকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক কোহলি
-
3
বিগ ব্যাশে পাকিস্তানের অংশগ্রহণে অনুমতি, বিপিএলের দরজাও কি খুলছে
-
4
টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদকে পিসিবির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরামর্শক নিয়োগ
-
5
ব্রুকের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতেও হার এড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড
মিরপুরের কালো আভা পেরিয়ে চট্টগ্রামে লিটনের রঙিন প্রত্যাশা
মিরপুরের কালো আভা পেরিয়ে চট্টগ্রামে লিটনের রঙিন প্রত্যাশা
মিরপুরের উইকেটে ছিল গাঢ় কালো আভা, রান তোলা ছিল কঠিন। কিন্তু এবার দৃশ্যপট একেবারেই ভিন্ন। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে (সাবেক জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম) সোমবার শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজের-এর টি–টোয়েন্টি সিরিজ। বাদামি-সবুজ আভাযুক্ত এই উইকেটে ব্যাটারদের জন্য সুযোগ থাকবে বড় রানের ইনিংস গড়ার।
মিরপুরের ধীর পিচে যেখানে রান ওঠে কষ্টে, সেখানে সাগরিকার উইকেট বরাবরই স্পোর্টিং স্বভাবের। এখানে ব্যাটাররা শট খেলতে পারেন স্বাচ্ছন্দ্যে, তবে বোলাররাও একেবারে নিষ্ক্রিয় থাকেন না। পিচের এমন ভারসাম্যই ম্যাচগুলোকে করে তোলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ড্যারেন স্যামির কাছে এই মাঠ বেশ পরিচিত। সাবেক এই ক্যারিবীয় তারকা ক্রিকেটার চট্টগ্রামে খেলেছেন বহু আন্তর্জাতিক ম্যাচ, আবার বিপিএলেও ছিলেন নিয়মিত মুখ। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি আগেই জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের উইকেটকেই তিনি বাংলাদেশের সেরা বলে মনে করেন।
এর মধ্যেই স্টেডিয়ামের নামেও এসেছে পরিবর্তন। সম্প্রতি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে দেশের বীর সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের নামে। নতুন নাম, নতুন আবহ! সব মিলিয়ে সিরিজের সূচনায় সাগরিকার পরিবেশ যেন একেবারেই নতুন রূপে হাজির।
সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লিটন দাস জানিয়েছেন, দল ইতিবাচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে উইকেটের দিকে।
“মিরপুরের উইকেট নিয়ে কিছু বলতে পারব না, কিন্তু চট্টগ্রামে আমরা আশা করতে পারি ভালো উইকেট এবারও হবে। তবে সারফেস কীভাবে আচরণ করবে, সেটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ভালো উইকেট হলে আমরা রান করার চেষ্টা করব, আর যদি কঠিন হয়, তাহলে লড়াই করব,”— বলেন লিটন।
চট্টগ্রামের মাঠে বরাবরই দর্শকরা পেয়েছেন রানের উৎসব। এবারও যদি উইকেট ব্যাটিং-বান্ধব থাকে, তাহলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে টাইগার ব্যাটারদের। সিরিজের শুরুতেই এমন এক স্পোর্টিং উইকেট বাংলাদেশের জন্য বড় সহায়ক হতে পারে বলে মনে করছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা।
