Image

আইজ্যাকের শতকে টাইগারদের হারিয়ে সিরিজে ইংল্যান্ডের সমতা

৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল

প্রকাশ: 4 ঘন্টা আগেআপডেট: 12 মিনিট আগে
আইজ্যাকের শতকে টাইগারদের হারিয়ে সিরিজে ইংল্যান্ডের সমতা

আইজ্যাকের শতকে টাইগারদের হারিয়ে সিরিজে ইংল্যান্ডের সমতা

আইজ্যাকের শতকে টাইগারদের হারিয়ে সিরিজে ইংল্যান্ডের সমতা

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল। রোববার লাফবোরোর হাসলেগ্রেভ গ্রাউন্ডে টাইগার যুবাদের ২৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংলিশ লায়ন্স জয় তুলে নিয়েছে ৪ উইকেটে। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে শতক হাঁকিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন ওপেনার আইজ্যাক মোহাম্মদ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে দুই দলের মধ্যে এখন ১-১ সমতা বিরাজ করছে।

টাইগার যুবাদের ২৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংলিশ লায়ন্স পায় উড়ন্ত সূচনা। প্রথম ম্যাচে চার-ছক্কার ঝড় তোলা ওপেনার আইজ্যাক মোহাম্মদের ব্যাট আজও ঝরিয়েছে ছক্কার বৃষ্টি। প্রথম দশ ওভারে জো মোরেসকে (৪৭) সঙ্গে নিয়ে গড়ে তোলেন ৬৮ রানের জুটি। এই জুটি ভাঙেন বাংলাদেশের বোলার শাহরিয়ার আল আমীন, আব্দুল্লাহর হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মোরেসকে।

এরপর ইংল্যান্ডের রানচাকা সচল রাখেন আইজ্যাক। দ্বিতীয় উইকেটে বেন মায়েসকে (৩০) সঙ্গে নিয়ে যোগ করেন আরও গুরুত্বপূর্ণ রান। মায়েসকে ফিরিয়ে দেন টাইগার বোলার সামিউন বাসির রাতুল। তবে উইকেটে তখনও জমে থাকা আইজ্যাক ছিলেন বাংলাদেশের বোলারদের সামনে অনড়। আগের ম্যাচের মতোই একাই দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান এই ইংলিশ ওপেনার।

আইজ্যাকের মতো আর কেউ উইকেটে তেমনভাবে থিতু হতে না পারলেও, তাঁর ব্যাটিংয়ে গড়া ভিতেই জয় নিশ্চিত করে ইংলিশরা। ৯৫ বলে ৯ ছক্কা আর ৬ চারে সাজানো নান্দনিক ইনিংসে শতক তুলে নেন তিনি। ১০৪ রান করে ফেরার আগেই দলের জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়ে যান।

শেষদিকে ছয়ে নেমে জ্যাক নেলসনের ৩৮ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংসে ৪৩.২ ওভারে ৪ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংলিশ লায়ন্স।

বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন সামিউন বাসির রাতুল। একটি করে উইকেট নেন আল ফাহাদ, ফারান শারিয়ার ও শাহরিয়ার আল আমীন।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তোলে ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটে ২৭২ রান। ওপেনিংয়ে জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ ৩১ রানের জুটি গড়েন। জাওয়াদ ব্যক্তিগত ১০ রানে ফেরেন। এরপর তিনে নামা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের সঙ্গে গড়েন ৮৩ রানের দারুণ জুটি।


রিফাত তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি, তবে ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ৫২ বল খেলে করেন ৫১ রান, ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। এরপর তামিমও ফেরেন ৪১ রান করে, ইনিংসে ছিল ৩ ছক্কা ও ২ চার।

প্রথম ম্যাচে ঝলক দেখানো কালিম সিদ্দিকী (৪) এদিন ব্যর্থ হলেও, মিডল অর্ডারে আবারও দায়িত্ব নেন রিজান হাসান। ষষ্ঠ উইকেটে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর (১৭) সঙ্গে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। ৫৭ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রান।

শেষদিকে আল ফাহাদের ২২ বলে ২৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ইনিংসটা পায় গতি। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ১ ছক্কার মার। ফারান শারিয়ারের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান।

ইংল্যান্ডের হয়ে তিন উইকেট নেন জেমি মিন্টো। দুটি করে উইকেট পান ম্যানি লাবসডেন ও জ্যাক নেলসন। একটি করে উইকেট নেন ম্যাথু ফারব্যাংক ও রালফি আলবার্ট।

প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিশ লায়ন্স জিতে সিরিজে সমতা ফেরায়। তিন ম্যাচ এখন বাকি, লড়াই জমে উঠেছে দুই দলের মধ্যেই।
 

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three