৩৪২ রানে হেরে ওয়ানডে ইতিহাসে লজ্জার রেকর্ড প্রোটিয়াদের
৯৭ প্রতিবেদক: তাকি বিন মহসিন
প্রকাশ: 4 ঘন্টা আগেআপডেট: 2 মিনিট আগে
৩৪২ রানে হেরে ওয়ানডে ইতিহাসে লজ্জার রেকর্ড প্রোটিয়াদের
৩৪২ রানে হেরে ওয়ানডে ইতিহাসে লজ্জার রেকর্ড প্রোটিয়াদের
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সাউদাম্পটনে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গড়ল ব্যতিক্রমী এক লজ্জার রেকর্ড। ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।
ইংল্যান্ডের জো রুট ও জ্যাকব বেথেলের সেঞ্চুরি, আর জেমি স্মিথ ও জশ বাটলারের ঝোড়ো ফিফটিতে চারশরও বেশি রান তোলে স্বাগতিকরা। এরপর বোলিংয়ে ঝড় তোলেন জফরা আর্চার ও আদিল রশিদ। মাত্র ৭২ রানে গুটিয়ে যায় টেম্বা ভাবুমার দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলাফল ৩৪২ রানের বিশাল পরাজয়, যা ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ড।
এর আগে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার দখলে। ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের ৩৯১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫০ রানে গুটিয়ে গিয়ে লঙ্কানরা হেরেছিল ৩১৭ রানে।
সাউদাম্পটনে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ল ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪১৪, এটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এর আগে ২০১৬ সালে ব্লুমফন্টেইনে ৯ উইকেটে ৩৯৯ রান ছিল ইংলিশদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। হিমালয়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২০.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় টেম্বা ভাবুমার দল। ৭২ রানে থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস, ফলে ৩৪২ রানের বিশাল হারে লজ্জার রেকর্ড গড়ে তারা। ওয়ানডে ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ ব্যবধানে পরাজয়। তবে বড় হার দেখলেও আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করার পর শেষ ম্যাচে হারায় ২-১ ব্যবধানে শেষ হলো তিন ম্যাচের সিরিজটি।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৯ রান। বেন ডাকেট ৩৩ বল খেলে ৩১ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর দলীয় ১১৭ রানে দ্বিতীয় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে স্মিথ খেলেন দারুণ ইনিংস। ৪৮ বলে ৬২ রান করার পথে তিনি হাঁকান ৯টি চার ও একটি ছক্কা।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৮২ রান যোগ করেন জ্যাকব বেথেল ও জো রুট। ৭৬ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন বেথেল। ৪০.২ ওভারে ২৯৯ রানে আউট হন ১১০ রানে; তার ৮২ বলের ইনিংসে ছিল ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কা। রান করতে থাকেন হ্যারি ব্রুকও, তবে ৩০২ রানে ফিরে যান তিনি। এরপর জো রুট ও জশ বাটলার আরও ৬৯ রান যোগ করেন। ৯৬ বলে ১০০ রান করার পর রুট আউট হন, তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার।ইনিংস শেষ করেন বাটলার উইল জ্যাকসের সঙ্গে। ৩২ বলে ৬২ রানে বাটলার হাঁকান ৮টি চার ও ১টি ছক্কা। জ্যাকস ৮ বল খেলে ১৯ রান করেন, যেখানে ২টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল। প্রোটিয়াদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন কোরবিন বোশ ও কেশব মহারাজ।